সরকারি অনুদানে নির্মিত সিনেমা ‘আশীর্বাদ’ নিয়ে সম্প্রতি সিনেমাটির একটি সাংবাদ সম্মেলন করেন প্রযোজক জেনিফার। কিন্তু সেখানে ছবির নায়িকা মাহি বা নায়ক রোশান কাউকেই ডাকেননি। তার অভিযোগ, মাহি ও রোশান সিনেমার পোস্টার ফেসবুকে শেয়ার দেননি। এ কারণে তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ তোলেন জেনিফার। এবার আলাদা সংবাদ সম্মেলন করলেন মাহিয়া মাহি, রোশান ও সিনেমাটির নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক।
সেখানে তারা পুরো সিনেমার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। মাহিয়া মাহি বলেন, ২০১২ সালে আমার প্রথম সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। সেই থেকে এখন পর্যন্ত অনেক সিনেমায় কাজ করেছি। অনেক প্রযোজক, পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছি।কারও সঙ্গে খুব ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে, কখনো তিক্ত অভিজ্ঞতাও হয়েছে। কিন্তু এই সিনেমার মতো এত তিক্ত অভিজ্ঞতা কখনোই হয়নি। আমি কখনো ভাবিনি, এ রকম সংবাদ সম্মেলন ডেকে সবাইকে এসব বিষয়ে কথা বলতে হবে।
‘আশীর্বাদ’- নিয়ে দারুণ আগ্রহ ছিল মাহির। তিনি বলেন, সরকারি অনুদানের সিনেমায় অভিনয় করবো, এটা ভেবে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়েছিল। ভেবেছিলাম এর মাধ্যমে যদি প্রধানমন্ত্রীকে নিজের কাজ দেখাতে পারি। জানি না উনি দেখবেন কিনা। কিন্তু এই আশাতে কাজটি করেছি। জেনিফার ফেরদৌসকে চেনেন না দাবি করে মাহি আরও বললেন, এই প্রযোজককে তো আমি চিনি না। নির্মাতার ওপর ভরসা করেই সিনেমাটি করেছি।
পারিশ্রমিকের দিকে আমরা সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে কাজ করেছি। অথচ শেষ পর্যন্ত তিনি (প্রযোজক) প্রেস কনফারেন্স করে বললেন, নায়ক-নায়িকার প্রচারণা না, সিনেমার প্রচারণা করতে এসেছেন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ‘আশীর্বাদ’ সিনেমাটিকে ৬০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিল সরকার। কিন্তু মাহিয়া মাহির দাবি, সিনেমা বানাতে ২৫ লাখ টাকাও খরচ করেননি প্রযোজক! নায়িকার ভাষ্য, এই সিনেমায় ২৫ লাখ টাকার বেশি ব্যয় হয়নি। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
যদি ভুল হয়, সেটার দোষ আমার। আমি ভেবেচিন্তেই বলছি কথাটি। সরকার যে অনুদান দিয়েছে, সেটার অর্ধেকও খরচ করা হয়নি। আমি শুটিংয়ে সব দেখেছি। আমি যেহেতু কাউকে ভয় পাই না। তাই সত্যি কথা বলতে আপস করবো না।
বাংলা ম্যাগাজিন /এনএইচ