কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়া এলাকায় কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কে সৈয়দ মাস উদ রুমী সেতুর টোলের টাকা চাওয়ায় কর্মচারীদের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বেধড়ক পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সেতুটির পশ্চিম প্রান্তের টোল প্লাজায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সামনে মুজিব চত্বরে শোকসভার আয়োজন করে জেলা ছাত্রলীগ। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ। বেলা ১১টার দিকে ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে কুমারখালী উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা দেন।
ছাত্রলীগের হামলার পর সেতুর কর্মচারীরা তাঁদের ধাওয়া দেন। এতে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় তাঁদের অন্তত তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
একপর্যায়ে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা–কর্মী মোটরসাইকেল থেকে নেমে টোল প্লাজার এক কর্মচারীকে কিল–ঘুষি মারতে থাকেন। অন্য কর্মচারীরা প্রতিবাদ করলে ছাত্রলীগের আরও নেতা–কর্মী এসে তাঁদের মারধর করতে থাকেন।
টোল প্লাজার কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, টোলের টাকা চাওয়ায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল থামিয়ে এক কর্মচারীকে মারধর শুরু করেন। বাধা দিতে গেলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিলে অন্য কর্মচারীদের পেটান ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেন। একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে তাঁদের ধাওয়া করেন। এ সময় সেতুর টোল প্লাজায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
কী কারণে সংঘর্ষ হয়েছে, তা জানেন না উল্লেখ করে সেতুর ইজারাদার পারভেজ আনোয়ার ওরফে তনু বলেন, ‘সেখানে একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। ফুটেজ দেখলে বিস্তারিত জানা যাবে। কয়েকজন কর্মচারী আহত হয়েছেন। এখনই কিছু বলতে চাই না।’
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের সঙ্গে সেতুর টোল প্লাজার লোকজনের হাতাহাতি হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাংলা ম্যাগাজিন / এমএ