ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনকে নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তার একটি ব্যক্তিগত ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করার সেই ভিডিও নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
৩৬ বছরের সানা এক সময়ে ছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী। নিজের ব্যক্তিগত জীবন, পার্টি-জীবন এবং মিউজিক কনসার্টের প্রতি ভালোবাসার কথা তিনি কখনো গোপন করেননি। এই সূত্রেই এর আগে তার বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, তিনি বড্ড বেশি মাত্রায় মিউজিক কনসার্টে যান। তার উচিত কাজে বেশি মন দেওয়া। যদিও সে কথায় বেশি পাত্তা দেননি ফিনল্যান্ডের এই নেত্রী।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সানা মারিন তার বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করছেন। বন্ধুদের মধ্যে রয়েছেন ফিনল্যান্ডের বেশ কয়েকজন নামজাদা তারকাও। তাদের সঙ্গে গান গাইছেন এবং নাচছেন সানা। বিতর্ক সেই নাচ বা গান নিয়ে নয়। তার কাণ্ডকারখানা দেখে বিরোধীরা দাবি তুলেছেন, সানা মাদকাসক্ত এবং তার মাদক পরীক্ষা করাতে হবে।
যদিও সানা নিজে মাদকের কথা অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, তিনি ওই সময়ে শুধু মদ্যপান করেছিলেন। কিন্তু তাতেও বিতর্ক বিন্দুমাত্র কমেনি।করোনাকালে তাকে নিয়ে নতুন করে বিতর্ক হয়। কারণ সেই সময়ে করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসার পরেও তিনি ক্লাবে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পরে সানা সে জন্য ক্ষমাও চান।
জার্মানির এক সংবাদমাধ্যম তাকে পৃথিবীর সবচেয়ে ‘কুল’ প্রধানমন্ত্রী বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে। তার পরেই এই নাচ কাণ্ড।সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া নাচের ভিডিও সম্পর্ক তার মত, ‘আমি নেচেছি, গান গেয়েছি এবং পার্টি করেছি। এর কোনোটাই বেআইনি নয়। আমায় কখনো মাদক সেবন করতেও দেখা যায়নি।’যদিও বিরোধী নেত্রী রিক্কার বক্তব্য, সানার উচিত নিজে থেকেই মাদক পরীক্ষা করানো। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর ওপর সন্দেহের মেঘ জমে রয়েছে।
তবে এসবের জবাবে প্রধানমন্ত্রী নিজে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমার পরিবার আছে। কাজের জায়গা আছে। এ ছাড়া আমার নিজের মতো করে বন্ধুদের সঙ্গে কাটানোর মতো সময়ও আছে। আমার বয়সের অন্যদের যা যা থাকে, তার সবই আমার আছে। সেটাই স্বাভাবিক।’তিনি এর সঙ্গে বলেছেন, তিনি আগেও যা ছিলেন, এখনো সেই মানুষটিই আছেন। পরেও তাই থাকবেন। সেটি সকলে মেনে নেবেন বলেও মত তার।
অন্য বিরোধী দলের সদস্যরাও এ প্রসঙ্গে সানাকে ছেড়ে কথা বলছেন না। তারা একই সঙ্গে যেমন প্রধানমন্ত্রীর তুলোধনা করছেন, তেমনই দেশের সংবাদমাধ্যমকেও একহাত নিচ্ছেন। অনেকেরই মত, সংবাদমাধ্যম প্রধানমন্ত্রীর কোনো ভুলত্রুটি নিয়ে খবর প্রকাশ করে না।https://youtu.be/Q_UcaY8nNVA
বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে