গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শানু আক্তার (৩৬) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সন্ধা সাতটার দিকে উপজেলার উত্তর গজারিয়া পাড়া মোস্তফা খানের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শানু আক্তার ঢাকার দক্ষিণখান এলাকার মৃত রাজ্জাক চৌধুরীর স্ত্রী।
কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমজাদ হোসেন বলেন, ‘শানু আক্তার প্রায় তিনমাস ধরে একটি ছেলেকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে গজারিয়া পাড়া এলাকায় ভাড়া থাকতেন। বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল একটি পত্রিকার আইডি কার্ড পাওয়া গেছে।’
নিহেতর মেয়ে নাজনীন জাহান দাবি করেছেন, তার মাকে হত্যা করা হয়েছে।নাজনীন জাহান বলেন, ‘আমার মা একজন সাংবাদিক। তিনি ঢাকার একটি পত্রিকায় ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন। তিনি কিছুদিন যাবত কালিয়াকৈরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। গতকাল সন্ধায় জানতে পারি তিনি মারা গেছে। আমার ধারণা তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এসআই বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে নিহতের মেয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর কথিত স্বামী পলাতক রয়েছে।পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, ঢাকার দক্ষিণ খানের প্রয়াত আবুল কালামের প্রথম স্ত্রী শানু হোসেন। গত দুই মাস ধরে তিনি কালিয়াকৈরের উত্তর গজারিয়া এলাকার মোস্তফা খানের বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে কথিত দ্বিতীয় স্বামী রফিকের সঙ্গে বসবাস করতেন।
রফিক হোসেন স্থানীয় জিএমএস নামে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। শানু দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে বসবাস করলেও ঢাকার প্রথম স্বামীর বাসায় যাতায়াত করতেন।গত ১৩ আগস্ট শানু ঢাকা থেকে কালিয়াকৈরে ফেরেন। পরে বুধবার দিনের কোনো এক সময় তাকে হত্যা করা হয়।
এরপর থেকেই কথিত দ্বিতীয় স্বামী রফিক হোসেন পলাতক রয়েছেন। রাতেই প্রতিবেশীরা শানু হোসেনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে নিহতের মেয়ে নাজনিন জাহান কথাকে ফোন করে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে