অপরাধএক্সক্লুসিভবাংলাদেশরংপুর

উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাত্রা ও বহুভুজ প্রেমের কারণে জীবন গেলো স্কুলছাত্রী ইভার

রংপুরের কাউনিয়ায় স্কুলছাত্রী সানজিদা খানম ইভা হত্যার রহস্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কথিত প্রেমিক মো. নাহিদুল ইসলাম ওরফে সায়েম আদালতে স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় সানজিদার কথিত তিন প্রেমিক, সানজিদার উচ্ছৃঙ্খল জীবন ও বহুভুজ প্রেমের কারণে তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই হত্যা করেন।

কাউনিয়া থানা পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, সায়েমের সঙ্গে তিন বছর আগে সানজিদার পরিচয় ও সম্পর্ক হয়। কিছুদিন আগে তাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলেও যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। এরই মাঝে ঘটনার দিন মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) আনুমানিক বেলা আড়াইটার দিকে পরিকল্পনা অনুযায়ী সায়েম সানজিদাকে নিয়ে রংপুরে শাপলা সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে যায়।

সেখানে সানজিদার নতুন প্রেম নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক হলে সানজিদা সেখান থেকে চলে যান। পরে সায়েম তার পূর্ব পরিচিত আরও দুইজনের সাহায্যে কৌশলে সানজিদাকে মাহিগঞ্জে রেখে পরে সেখানে আবার মিলিত হন। তারপর তারা পীরগাছা আলীবাবা থিম পার্কে ঘুরতে যান কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় সানজিদা ফিরে আসার জন্য চাপ দেন। এরপর মধুপুর কুটিরপাড় রোডের একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে সানজিদার একাধিক প্রেম নিয়ে কথা তোলে এবং তারা তিনজন মিলে ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করে।

সানজিদা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে সানজিদার ব্যাগে পাওয়া একটি খাতা ও সোর্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ প্রেপ্তার করে সানজিদার কথিত প্রেমিক মাহিগঞ্জ থানার তালুক উপাশু গ্রামের মো. নূর হোসেন মিলিটারির ছেলে মো. নাহিদুল ইসলাম ওরফে সায়েমকে (১৯)। তিনি গত বছর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন।

গত মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে কাউনিয়া উপজেলার কুটির পাড় বাজার থেকে মধুপুর যাওয়ার সড়কের পাশে গলা কাটা অজ্ঞাত পরিচয়ের এক তরুণীর লাশ পড়ে ছিল। পথচারীরা লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে কাউনিয়া উপজেলা হাসপাতালে পাঠায়। নিহত সানজিদা খানম ইভার বাড়ি কাউনিয়া উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের গোড়াই গ্রামে। তিনি বড়দরগা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

রংপুর জেলা সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম পলাশ বলেন, ‘সায়েম এই হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে আরও একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তদন্ত অব্যাহত আছে।’

একটি মন্তব্য

Back to top button