নিজের ভাইপোকে খুনের অভিযোগ উঠেছে কাকার বিরুদ্ধে। ভারতের কলকাতার বেহালার সখেরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। মৃত যুবকের নাম দেবজিৎ দাস। কাকির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে ভাইপোকে মারধর করা হয়।পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় অভিযুক্ত কাকা অর্ণব দাসকে গ্রেপ্তার করেছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ।
দেবজিতের মা বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আমি জানি না, কী কারণে ওদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। আমার ছেলেটা তো মারাই গেল। পড়াশোনা শেষ করে ও একটি কম্পিউটার সংস্থায় চাকরি করত। ওকে কেন এভাবে মারল জানি না। এভাবে না মেরে আমাকে একবার জানাতে পারত যে কী গণ্ডগোল হয়েছে। তখন বিষয়টা দেখা যেত। একতরফা তো অনেক কিছু দোষ দেবেই। সে বেঁচে থাকলে আমি জিজ্ঞেস করতে পারতাম। ’
জানা যায়, কলকাতার বেহালার সখেরবাজার এলাকার বাসিন্দা দেবজিৎ দাসের সঙ্গে তার কাকা অর্ণব দাসের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ছিল। নিজের স্ত্রীর সঙ্গে ভাইপোর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ অর্ণবের। বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা তৈরি হয়েছিল দুজনের মধ্যে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দিন কয়েক আগে পুরীতে বেড়াতে গিয়ে ফেরার পথে ট্রেনের মধ্যেও কাকা-ভাইপোর মধ্যে ঝগড়া বাধে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুজনের ঝামেলা চরমে পৌঁছয়। দেবজিৎকে এরপর বেধড়ক মারধর করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এমনকি বাঁশ-লাঠি দিয়েও মারা হয় বলে অভিযোগ। আহত দেবজিৎকে স্থানীয় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ঠাকুরপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত কাকা অর্ণব দাসকে গ্রেপ্তার করেছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ। তবে অবৈধ সম্পর্ক নাকি সম্পত্তিজনিত কারণ―কী বিষয়ে গোলমালের জেরে এ রকম ঘটনা ঘটানো হলো, তা খতিয়ে দেখছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ। দেবজিতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অন্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে