তরুণদের মদ খেতে উৎসাহিত করতে নতুন প্রচারণা চালাচ্ছে জাপান। গবেষণা বলছে, এই প্রজন্মের তরুণেরা তাদের পিতা-মাতা’র থেকে অনেক কম মদ খাচ্ছে। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে জাপানের কর্তৃপক্ষ। রাইস ওয়াইনের মতো পানীয় থেকে জাপান যে বিশাল কর পেতো সেটিও কমতে শুরু করেছে। তাই দেশটির ন্যাশনাল ট্যাক্স এজেন্সি এখন মদকে জনপ্রিয় করতে প্রচারণা চালাচ্ছে। এমনকি জাতীয় পর্যায়ে এ সম্পর্কিত প্রতিযোগীতাও চালু করা হচ্ছে।
এ নিয়ে জাপানিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। মদ খাওয়াকে এভাবে উৎসাহিত করাকে তারা ভালো চোখে দেখছেন না। তবে ইতিবাচকভাবেও দেখছেন অনেকে। গবেষণা বলছে, জাপানের মদের বাজার দিন দিন ছোট হয়ে আসছে। ১৯৯৫ সালে দেশে যে পরিমাণ মদ বিক্রি হতো, ২০২০ সালে তার থেকে অনেক কম মদ বিক্রি হয়েছে।
এই সময়ে মদ থেকে কর পাওয়াও কমে গেছে। ১৯৮০ সালে যেখানে মদের কর থেকেই ৫ শতাংশ অর্থ পেতো জাপান, ২০২০ সালে তা ১.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের হিসেবে জাপানের ২৯ শতাংশ মানুষের বয়সই ৬৫ বছর কিংবা তার বেশি বয়সের।
বিবিসি জানিয়েছে, ‘সেক ভিভা’ নামের ওই প্রতিযোগীতার উদ্দেশ্যে হচ্ছে তরুণদের কাছে মদ পানকে আরও আকর্ষনীয় করে তোলা। এতে করে এই শিল্প আবারও এগিয়ে যেতে পারবে। জাপানের ট্যাক্স কর্তৃপক্ষ বলছে, মূলত কোভিড মহামারির কারণেই তরুণরা মদ পানের অভ্যাস থেকে সরে গেছেন। এবং এই ধারা এখনও বেড়েই চলেছে।এখন এই ট্রেন্ডকে উল্টে দিতে চাইছে দেশটি।
বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে