ফেসবুকে বাজে মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় মার খেলেন তরূণীর পিতা
রাজধানীর শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা শিবা আক্তার যুথিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাজে মন্তব্য করেছিলেন কয়েক তরুণ। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন ওই তরুণীর বাবা জসিম উদ্দিন। এতে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক এবং তার সহযোগীরা তাকে ডেকে নিয়ে বেদম মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর অসুস্থ জসিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে শান্তিনগরের হোয়াইট হাউজ হোটেলে ওই ঘটনা ঘটে।অভিযোগের বিষয়ে কাউন্সিলর এনামুল বলেছেন, তিনি জসিমকে মারধর করেনি। পল্টন থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসাইন মিরনের সঙ্গে জসিম বিবাদে জড়িয়েছিলেন। তার সামনে ওই ঘটনা হওয়ায় তিনি উভয়পক্ষকে সরিয়ে দেন।
এনামুল হক ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। পাশাপাশি তিনি পল্টন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি। মারধরের শিকার জসিম ওই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। স্থানীয় দলীয় সূত্র বলছে, এনামুল ও জসিম একই দলের হলেও তারা দীর্ঘদিন ধরে ভিন্ন গ্রুপে রাজনীতি করে আসছেন।
জসিমের মেয়ে শিবা আক্তার যুথি পল্টন থানায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) বলেছেন, সম্প্রতি তিনি পল্টন থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মিরন, রাশেদুল আলম ও এইচ এম রায়হান তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়াতে থাকেন।
মঙ্গলবার রাতে তার বাবা ওই ব্যক্তিদের হোয়াইট হাউজের ভেতরে দেখে তাদের ফেসবুকে বাজে মন্তব্য না করার অনুরোধ করেন। তখন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক, তার ভাই পান্না, ফ্রিডম রানা, মিরন, রাশেদুল, সবুজ, শাহিন, মঞ্জুরুল আরজু ও রায়হান তার বাবাকে গালিগালাজ করেন। তাতে প্রতিবাদ করলে তাকে তারা এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি দিয়ে আহত করে ফেলে চলে যান।
শিবা আক্তার আরও বলেন, তাকে ফেসবুকে বাজে মন্তব্য করায় তার বাবা বিষয়টি কাউন্সিলরকে বলেছিলেন। এরপর তাকে কৌশলে ওই হোটেলে ডেকে নিয়ে কাউন্সিলরের নেতৃত্ব আটকে রেখে মারধর করা হয়। তার বুকের উপর উঠে পেটানো হয়। হামলাকারীরা সবাই কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠজন।
পল্টন থানার ওসি সালাহ উদ্দিন মিয়া বলেন, মেয়েকে ফেসবুকে কটূক্তির প্রতিবাদ করায় জসিম উদ্দিনের ওপর হামলা হয়েছে বলে তারা অভিযোগ পেয়েছেন। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা বলেছেন, আঘাতের পাশাপাশি তিনি হার্ট অ্যাটাক করেছেন। বর্তমানে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কাউন্সিলর এনামুল হক বলেন, ফেসবুকে বাজে মন্তব্যের কথা তিনি আগে শোনেননি। তার কাছে কেউ অভিযোগও দেয়নি। ওই রাতে জসিম তার সঙ্গে লোকজন দেখে ক্ষেপে গেলে তখন হাতাহাতি হয়। তিনি উভয় পক্ষকে নির্বৃত করেছেন।হাসপাতাল সূত্র জানায়, জসিমের মুখের বিভিন্ন জায়গার মারাত্মক জখম হয়েছে। বুকে প্রচণ্ড আঘাত পাওয়ায় ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকও করেছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
যে কোনো অপকর্মের সাথে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ থাকবেই।এটাই দেশের আইনে পরিনত হয়েছে।
হায়রে ক্ষমতার বাহাদুর।
ক্ষমতা হারালে বুঝবি।