বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের তথ্য সংশোধন করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সুযোগ দেয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রাথমিকভাবে শূন্যপদের তথ্য গত ১৪ আগস্ট রাত ১২টা অনলাইনে সংগ্রহ করা হয়েছে।
শূন্যপদের তথ্য সংশোধন করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সুযোগ দেয়া হয়েছে। আগামী ১৯ আগস্ট থেকে শূন্যপদের তথ্য সংশোধন শুরু হচ্ছে। ২৪ আগস্ট পর্যন্ত শূন্যপদের তথ্য সংশোধন করার সুযোগ পাবেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। আর ২৫ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শূন্যপদের তথ্য মাঠ পর্যায়ের উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তারা যাচাইয়ের সুযোগ পাবেন।
এরপর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শূন্যপদের তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ পাবেন।মঙ্গলবার এসব তথ্য জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এনটিআরসিএ। এদিন দুপুরে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. এনামুল কাদের খান দৈনিক শিক্ষাডটকমের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।চেয়ারম্যান বলেন, শূন্যপদের আসা তথ্য যাতে সঠিক হয় এবং শিক্ষক পদে প্রার্থী সুপারিশের পর জটিলতা সৃষ্টি না হয়- তা নিশ্চিত করতে শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দেয়া হয়েছে।বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের তথ্য যাচাই করতেও বলা হয়েছে।
শূন্যপদের তথ্য সংশোধন যেভাবে :
শূন্যপদে তথ্য সংশোধনের সুযোগ দিয়ে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে এনটিআরসিএ জানিয়েছে, সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, কারিগরি ও মাদরাসা) প্রধানদের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় অধিযাচন (ই-রিকুইজিশন) দাখিলের জন্য ১৪ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিলো।
১৪ আগস্ট পর্যন্ত দাখিলকৃত ই-রিকুইজেশন যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে তবে তা সংশোধন বা সংযোজন বা বিয়োজন করার জন্য আগামী ১৯ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে ই-রিকুইজেশন প্লাটফর্মের ‘এডিট অপশন’ চালু হবে। ২৪ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত এ অপশন খোলা থাকবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ই-রিকুইজেশন প্লাটফর্মের দেয়া চাহিদা (অধিযাচন) সংশোধন বা সংযোজন বা বিয়োজন করতে পারবেন।এনটিআরসিএ আরও বলছে, এডিট করার সময় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদের চাহিদা সংক্রান্ত অধিযাচন (ই-রিকুইজেশন) দেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের পালনীয় নির্দেশিকার ‘খ’ নং ক্রমিকে বর্ণিত ১১, ১২ এবং ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, নির্দেশিকাটি এনটিআরসিএ ওয়েবসাইটের ই-রিকুইজিশন প্লাটফর্ম নামক সেবা বক্সে আপলোড করা আছে।
এডিট করার পর পুনরায় ‘সেভ অ্যান্ড সাবমিট’ এ ক্লিক করে সংশোধিত ই-রিকুজিশনের প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করার অনুরোধ করা হলো।প্রতিষ্ঠান প্রধান ই-রিকুইজিশন চূড়ান্তভাবে সাবমিট করার পর সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ইউএসইও) ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে তার আওতাধীন সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ই-রিকুইজিশন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই বাছাই করে আগামী ২৫ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত জেলা শিক্ষা অফিসারের (ডিইও) কাছে সাবমিট করবেন। যাচাইকালে অধিযাচনে (ই-রিকুইজিশসে) কোন ভুলত্রুটি চিহ্নিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানকে দিয়ে এডিট করে সাবমিট করবেন।
জেলা শিক্ষা অফিসাররা (ডিইও) স্ব স্ব ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে তাদের আওতাধীন সব উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ই-রিকুইজিশন ভালভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে সাবমিট করবেন। ই-রিকুইজিশন যাচাইকালে কোন ভুলত্রুটি দৃষ্টিগোচর হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানকে দিয়ে তা এডিট করে সাবমিট করবেন।