ম্যানচেস্টার সিটির ফরাসি ডিফেন্ডার মেন্ডি ১৩ নারীকে যৌন নিপীড়ন করেছেন
ধষর্ণের অপরাধে ম্যানচেস্টার সিটির ফরাসি ডিফেন্ডার বেঞ্জামিন মেন্ডিকে গত বছরই রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ। সোমবার চেশায়ারের আদালতে ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী এই তারকার বিচার কাজ শুরু হয়েছে। আদালতে শুনানিতে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
এক-দুইজন নয়, ২৮ বছর বয়সী মেন্ডি ১৩ নারীকে যৌন নিপীড়ন করেছেন। এসব কুকর্মে তাকে সাহায্যকরতেন ‘লুইস সাহা’ নামে একজন। বিচার চলছে তারও।আদালতের শুনানিতে বলা হয়, কম বয়সী মেয়েদের টার্গেট করতেন মেন্ডি ও সাহা। যাদের বয়স ১৭-১৯ বছরের মধ্যে। বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বাসায় নিয়ে আসা হতো তাদের। তৈরি করা হতো পার্টির পরিবেশ।
বৃটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, করোনা লকডাউনের সময়েই মেন্ডির শিকার হয়েছেন অন্তত ৮ নারী। আদালতের প্রশ্নোত্তর পর্বে আইনজীবী টিমোথি ক্রে বলেন, বন্ধ রুমে নারীরা খুবই অসহায় হয়ে পড়তেন। তাদের কাছ থেকে সেলফোন কেড়ে নেয়া হতো।
আদালতের শুনানিতে ক্যামেরার মাধ্যমে মেন্ডির বাসার ভেতরের সিনেমা কক্ষ, সুইমিং পুল এবং জিনেশিয়াম দেখানো হয়। ওসব জায়গাতেই মেন্ডি ও তার বন্ধু নিজেদের লালসা চরিতার্থ করতেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ক্রে। শিকারের আরেকটি জায়গা ছিল ম্যানচেস্টারের নাইটক্লাবগুলো। শুধু এক রাতেই চায়নাহোয়াইট নৈশক্লাবে দু’জনকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
বলা হয়, সে রাতে নাইটক্লাবে যাওয়ার পূর্বে বাসার পুল পার্টিতেও পালাক্রমে একজনকে ধর্ষণ করেন মেন্ডি ও সাহা। অর্থাৎ এক রাতেই নির্যাতনের শিকার তিনজন। আইনজীবী ক্রে বলেন, ‘ওরা যেন একবার ব্যবহার করেই মেয়েদের ছুঁড়ে ফেলছিল। এসব কাজ তারা ঠান্ডা মাথায় করতো।’
টার্গেট করা মেয়েদের এতবেশি মদ খাওয়ানো হতো যে চেতনা হারিয়ে ফেলতেন তারা।যখন জ্ঞান ফিরতো, নিজেদের বিধ্বস্ত অবস্থায় আবিষ্কার করতেন ওই মেয়েরা। কখনো দেখতেন সুইমিং পুলে পড়ে আছেন। কখনোবা দেখতেন পেছন দিকে হাতবাঁধা অবস্থায় সোফায় পড়ে আছেন।
যৌন মিলনে সম্মতি না দিলেও শুনতেন না মেন্ডি। আদালতে এই ফুটবলারকে ‘পশু’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার দুই নারী জানান, মেন্ডির পড়া ও ঘুমানোর কক্ষ ছিল অনেকটা ‘প্যানিক রুম’-এর মতো। যে রুম থেকে বেরোনোর রাস্তা ছিল না। কারণ, ভেতর থেকেই কেবল তালা খোলা যেতো। মেন্ডি ও সাহার কাছে এসব ছিল অনেকটা খেলার মতো।