রাজশাহী

রাত গভীরে স্কুলছাত্রের ঘরে ঢুকে দরোজা আটকালেন কলেজছাত্রী

রাত গভীরে স্কুলছাত্রের ঘরে ঢুকে দরোজা আটকালেন কলেজছাত্রী ।। বিয়ের দাবীতে স্কুলছাত্রের ঘরে ঢুকে দরোজা আটকিয়ে দেন এক কলেপড়ুয়া ছাত্রী। বিয়ে না করলে দরোজা খুলবেনা এমনকি নিজের প্রাণ দিয়ে দেবে বলে জানিয়ে দেন সবাইকে।বিপাকে পড়েন স্কুলছাত্রের পরিবার । শেষ অবধি রাতগভীরে গ্রাম্য সালিস বসিয়ে ঐ কলেজছাত্রীর সাথে দশম শ্রেণির ছাত্রের বিয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা।

রাজশাহীর পুঠিয়ায় এ ঘটনা নিয়ে পুরো এলাকাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কৌতুহলী মানুষ নবদম্পত্তিকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। ছেলেটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র (১৬)। আর মেয়েটি উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের ভাড়রা গ্রামে বাসিন্দা ও আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থী।

কলেজছাত্রীর দাবি, দশম শ্রেণী পড়ুয়া ছেলেটির সঙ্গে তিন বছর ধরে চলছিলো প্রেম। অন্যদিকে ছেলের পরিবারের অভিযোগ, কিশোরকে কৌশলে ফাঁদে ফেলে মেয়েটি বিয়ে করতে বাধ্য করেছে।গত শুক্রবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে পুঠিয়ার বেলপুকুর ইউনিয়নের চক ধাধাস গ্রামে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

ওই কিশোরের বাবা বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে মেয়েটি তাঁদের বাড়ি আসে। সে ছেলের ঘরে গিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে বলে, ‘আপনার ছেলের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। সে আমার সর্বনাশ করেছে! এখন বিয়ে করছে না। তাই এই বাড়িতে উঠেছি।’ ছেলেটির বাবা বলেন, ‘আমার নাবালক ছেলেকে ফাঁদে ফেলে কৌশলে মেয়েটি বাড়িতে আসে। পরে গ্রামের লোকজনদের দাবির মুখে রাতেই তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।’

মেয়েটির দাবি, প্রায় তিন বছর আগে ছেলেটির সঙ্গে তার খালার বাড়িতে সাক্ষাৎ হয়। সে সময় থেকে নিয়মিত মোবাইল ফোনে কথা হতো। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। বিয়ের কথা বললেই সে কৌশলে এড়ানোর চেষ্টা করে। উপায় না পেয়ে শুক্রবার রাতে ছেলের বাড়িতে চলে আসে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য লতিফুল রহমান বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে নাকি ওই ছেলের ভালোবাসা আছে। তাই মেয়েটি শুক্রবার রাতে ছেলের বাড়ি চলে আসে। পরে ওই রাতেই গ্রামের লোকজন বসে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মোহরানায় তাদের বিয়ে দিয়ে দেয়।’

এ বিষয়ে বেলপুকুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ওই কিশোরের বাড়িতে তরুণীর অবস্থানের বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ বিষয়ে কথা বলতে দুই পরিবারের সদস্যদের থানায় আসতে বলা হয়েছে। পরে কী হয়েছে জানা যায়নি।’

Back to top button