ঘর সাজিয়ে–গুছিয়ে রাখতে কেমন বিছানার চাদর চাই

ঘর সাজিয়ে–গুছিয়ে রাখতে বিছানার চাদরের জুড়ি নেই। যেমনটি বলছিলেন স্টুডিও বিবিয়ানার হেড অব ডিজাইনার লিপি খন্দকার—‘শোবার ঘরে ঢুকে প্রথমে যে জিনিস চোখে পড়ে, সেটি বিছানার চাদর। বিছানার চাদরটি তাই হওয়া চাই রুচিসম্মত।’

বিছানার চাদর নির্বাচনে প্রথমেই মাথায় রাখতে হয় ঘরের আসবাবের ধরন। আসবাব যদি কাঠের রং কিংবা বার্নিশ রঙের হয়, তাহলে যেকোনো রঙের চাদর ব্যবহার করা যাবে, তবে আসবাব যদি কালো বা সাদা হয়, তাহলে অবশ্যই মানানসই রং ও প্যাটার্নের চাদর বাছাই করতে হবে।’ এরপরই তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন দেয়ালের রংকে। তিনি বলেন, ‘অবশ্য অফহোয়াইট রঙের দেয়ালের সঙ্গে যেকোনো চাদরই যাবে, কিন্তু রংটা যদি একটু ভিন্ন হয়, তাহলে অবশ্যই চাদরের ব্যাপারে একটু ভেবে নিতে হবে।’

আর এই চাদর নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পর্দার রং, আসবাবের ধরন কিংবা বিছানার আয়তন। আপনার ঘর যদি হয় ছোট বা ঘরে যদি আসবাব খুব বেশি থাকে, তাহলে ঘরটি একটু প্রশস্ত দেখানোর জন্য ছিমছাম, হালকা রঙের চাদর ব্যবহার করতে পারেন। হালকা রঙের চাদরে ঘর প্রশস্ত ও ছিমছাম দেখাবে।

মাঝারি ধরনের ঘরের জন্য মোটিফ আছে, এমন চাদর ব্যবহার করা যায়। এ ক্ষেত্রে জ্যামিতিক মোটিফগুলো বেশ মানিয়ে যায়। আবার বেশি প্রশস্ত ঘরের জন্য বড় বড় মোটিফের চাদর উপযুক্ত। কারণ, ছোট মোটিফ বা হালকা রং প্রশস্ত ঘরে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তখন আবার ঘর খালি খালি লাগতে পারে। তাই বড় ঘরে বড় ডিজাইন ও গাঢ় রঙের চাদর বেশি মানানসই।

বড় ও মাঝারি ঘরের জন্য ক্যাটওয়াক কিংবা এপ্লিকের চাদর বাছাই করতে পারেন। কিন্তু ছোট ঘরে হালকা ব্লক কিংবা প্রিন্টের চাদর বেশি ভালো মানাবে। এগুলো হলো চাদর নিয়ে খুব সাধারণ কিছু পরামর্শ। কিন্তু ডিজাইনাররা সবকিছুই একটু গভীরভাবে ভাবতে পছন্দ করেন। সেই ভাবনা থেকে ডিজাইনার লিপি খন্দকার বলেন, ‘বিছানার চাদর ঘরের সৌন্দর্যের যেহেতু খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, তাই এটি শুধু ঘরের মাপের ওপর নির্ভর করে বাছাই করা যায় না।

ডিজাইনারের মতে, যেকোনো বাসার একটি নির্দিষ্ট থিম থাকা উচিত। তাহলে বাসা গোছাতে সুবিধা হয়। যেমন কেউ পছন্দ করেন একটু দেশি জিনিস দিয়ে ঘর সাজাতে, আবার কেউ চান ঘরে একটা ছিমছাম ওয়েস্টার্ন ভাব। কেউ আবার একটু ক্র্যাফটসের জিনিস রাখতে বেশি পছন্দ করেন। একটু ক্র্যাফটস প্যাটার্নের থিমের সঙ্গে অবশ্য প্যাচের চাদর খুব যায়।

আবার ঘরের পর্দা বাছাইকে বেশ গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি—‘চাদর ও পর্দা একে অন্যের পরিপূরক। এ দুইয়ের মধ্যে রঙের এবং ধরনের অবশ্যই সামঞ্জস্য থাকতে হবে।’ উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, ‘চাদর যদি হয় লাল আর পর্দা নীল, কখনোই সেটা মানানসই হবে না। চাদর লাল হলে পর্দায় লালের সঙ্গে অফহোয়াইট বা ব্রাউন রঙের মিশ্রণ মানানসই হবে।’

নিউমার্কেট থেকে শুরু করে আড়ং কিংবা অনলাইন শপগুলোতে চাদরের ধরন ও ডিজাইনে ভিন্নতা এসেছে। অনেকে ঘরের পর্দার সঙ্গে মিলিয়ে চাদর ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। সেই ভাবনা থেকেই কিছু অনলাইন শপ পর্দার সঙ্গে মিলিয়ে বিছানার চাদর তৈরি করছে। বাজারে ৩০০ থেকে শুরু করে ১০–১২ হাজার টাকায় এই চাদরগুলো পাওয়া যাবে।

Exit mobile version