এক সপ্তাহ ধরে সিলেটের ভিন্ন স্থানে আটকে রেখে ১৫ বছরের একটি মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় তার মাকেও ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে ওসমানীনগর থানা পুলিশ।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার ব্রাহ্মনগ্রামের মতিন খাঁন (৩৬) ও বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বুলবুল ফকির (৩২)।
এই ঘটনায় ভোক্তাভোগী নারী গত বৃহস্পতিবার ওসমানীনগর থানায় দুইজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরর পর ওই দিনই ধর্ষণের অভিযোগে দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুবিনয় বৈদ্য বলেন, মামলা দায়েরর পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তার করেছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৩ মাস ধরে ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ারবাজার এলাকার একটি হোটেলে বুয়ার কাজ করতেন ভুক্তভোগী ওই নারী। কর্মস্থলের পাশে ১৫ বছরের মেয়েকে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তিনি। হোটেল মালিক বুলবুল এবং সুপ্রীম ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মতিন দুজন একে অপরের বন্ধু।
সে সুবাধে মতিন প্রায় সময় ওই নারীর বাসায় আসা যাওয়া করতেন। এক পর্যায়ে মতিন ফুসলিয়ে ওই নারীর মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে।গত মাসের ১৪ জুন সন্ধ্যায় মতিন কৌশলে নারীর বাসায় যায় এবং জোরপূর্বক তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি অন্য কাউকে জানালে ওই মেয়েকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।
মেয়েটি ভয়ে বিষয়টি কাউকে না জানালে ২০ জুলাই মতিন ওই মেয়েকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সিলেট শহরের একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে আবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মতিন। ২-৩ দিন পর মেয়েটির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে এ বিষয়টি তার মাকে জানালে তার মা হোটেল মালিক বুলবুলকে বিষয়টি জানায়। এতে বুলবুল মেয়ের মাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে।
পরে গত ১ আগস্ট দুপুরে মতিন ও বুলবুল দুই বন্ধু একসঙ্গে ওই নারীর বাসায় যায়। বাসায় গিয়ে মা মেয়েকে আটকে মতিন মেয়েকে এবং বুলবুল মেয়ের মাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তাদেরকে বাসা থেকে বের করে দেয়। তাদের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে ওই নারী ওসমানীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে নির্যাতিত মা ও মেয়েকে পরীক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।