ক্রিকেটখেলা

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হারলো বাংলাদেশ

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হেরে নয় বছর পর জিম্বাবুয়ের কাছে ম্যাচ হারের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। একই সময় ব্যবধানে স্বাগতিকদের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হারের স্বাদও পেল তামিম ইকবাল বাহিনী।

তিন ম্যাচ সিরিজে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হেরে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ হার নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে মাঠে নামতে হবে তামিম ইকবাল বাহিনীকে।জাতীয় দলের পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য বেছে নেয়া হলো জিম্বাবুয়ে সফরকে।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য এমন পরীক্ষা-নীরিক্ষা খুবই প্রয়োজন। কিন্তু একেবারে প্রস্তুতিহীন একটি দল কিংবা যে দেশে খেলতে গেলো, তাদেরকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার প্রবণতাটা কোনোভাবেই মাথা থেকে যায়নি।কিন্তু খেলাটা ক্রিকেট। যে কোনো সময় চরিত্র বদলে যেতে পারে। যে কারণে ক্রিকেটকে বলা হয় গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। বাংলাদেশ ক্রিকেট কর্মকর্তাদের মাথায় হয়তো এটা ছিল না।

যে কারণে দেখা গেছে টি-টোয়েন্টি থেকেই একাদশ তৈরি করা নিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সে কারণেই শুরুতে পরাজয়। সেই আত্মবিশ্বাসে ছিড় ধরলো, সেটা আর ফিরলো না। অন্যদিকে অন্যরকম আত্মবিশ্বাসে উজ্জীবিত হয়ে উঠলো জিম্বাবুয়ে।সে ধারাবাহিকতায় টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হারের রেশ কাটতে না কাটতেই ৯ বছর প্রথম ওয়ানডে সিরিজ পরাজয়ের স্বাদ নিলো বাংলাদেশ দল।

প্রথম ওয়ানডেতে ৩০৩ রান করেও ৫ উইকেটে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। অপরাজিত ১৩৫ রান করে বাংলাদেশকে হারিয়ে দেন সিকান্দার রাজা।দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখালেন রাজা। ৩ উইকেট নেয়ার পর ১১৭ রানে অপরাজিত থাকলেন। তার কাছেই সিরিজ হারতে হলো বাংলাদেশকে। সে সঙ্গে ৭৫ বলে ১০২ রান করে বাংলাদেশকে হারানোর পথে অনেক বড় অবদান রাখেন অধিনায়ক রেগিস চাকাভা।২০১৩ সালে সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের কাছে ওয়ানডে সিরিজি হেরেছিল টাইগাররা।

সেবারও ঘরের মাঠে সিরিজ জেতে জিম্বাবুয়ে। এরপর ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে ৫-০ ব্যবধানে পরাজিত করে বাংলাদেশ। মাশরাফির শেষের নেতৃত্বও শুরু হয়েছিল এই সিরিজের মধ্য দিয়ে।পরের বছর আবারও বাংলাদেশ সফরে আসে জিম্বাবুয়ে। এবার ৩ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ জেতে ৩-০ ব্যবধানে।

তিন বছর বিরতি দিয়ে আবারও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ। স্বাগতিক বাংলাদেশ। এবারও তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ সফরকারীরা।বাংলাদেশের হয়ে ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮০ রান আসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে। এছাড়াও ৫০ রান করেন তামিম ইকবাল। জিম্বাবুয়ের হয়ে তিন উইকেট শিকার করেন সিকান্দার রাজা। বল হাতে তিন উইকেটের পাশাপাশি ব্যাটে সেঞ্চুরি করায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন রাজা।

Back to top button