আগামী ১১ আগস্ট শুরু হচ্ছে শিশুদের করোনা টিকাদান। ওইদিন থেকে ঢাকায় ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া হবে। ঢাকায় এ টিকাদানকে পরীক্ষামূলকভাবে নিয়ে সারাদেশে শিশুদের টিকা দেওয়া হবে ২৫ আগস্ট থেকে। বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের টিকা পাবে শিশুরা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, শিশুদের উপযোগী করে বিশেষভাবে প্রস্তুত ফাইজারের আরও ১৫ লাখ ডোজ টিকা আজ রোববার দেশে এসেছে। এর আগে গত ৩০ জুলাই কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় শিশুদের উপযোগী ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা পায় বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে শিশুদের জন্য ত্রিশ লাখ ডোজ টিকা রয়েছে বাংলাদেশের হাতে।
আজ রোববার (৭ আগস্ট) এ কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে রাজধানীর নিপসম মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমরা ১১ আগস্ট থেকে ট্রায়াল শুরু করব। প্রথমে ঢাকায় দেওয়া হবে টিকা। ফল ভালো হলে পুরোদমে সারাদেশে শুরু করবো।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে প্রথম টিকা দেওয়া হয়। পরদিন থেকে সারাদেশে ষাটোর্ধ্বদের গণটিকাদান শুরু করে সরকার। পর্যায়ক্রমে টিকাপ্রাপ্তির বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ বছরে আনা হয়। এরপর গত বছর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনা টিকার আওতায় আনা হয়। একইসঙ্গে প্রাপ্তবয়স্কদের বুস্টার বা তৃতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়।
সারাদেশে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে করোনার টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, এখন পর্যন্ত করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন দেশের ১২ কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার মানুষ । তাদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি লাখ ৭ লাখ ৩ হাজার। এছাড়া ৪ কোটি ৬ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি মানুষকে দেওয়া হয়েছে বুস্টার ডোজ।
তবে বুস্টার ডোজ গ্রহণে মানুষের মধ্যে ব্যাপক অনিহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মানুষকে উৎসাহিত করতে গত ১৯ জুলাই বুস্টার ডোজ দিবস পালন করে স্বাস্থ্যবিভাগ। ওইদিন ৭৫ লাখ লোককে বুস্টার ডোজ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হলেও সারাদিনে বুস্টার টিকা নিয়েছেন ৫৬ লাখ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখনও সোয়া কোটি মানুষ করোনার টিকা গ্রহণ করেননি।