ডেসকো এলাকাগুলোয় তিন ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের রুটিন
বিদ্যুতের ঘাটতি কমাতে গত জুলাই মাস থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লোডশেডিং। আজ রোববারও দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়েছে। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এখনো তাদের আওতাভুক্ত বেশির ভাগ এলাকায় এক ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের রুটিন করেছে।
আবার কিছু জায়গায় দুই ঘণ্টা করেও লোডশেডিং হবে।ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) আওতাধীন এলাকাগুলোয় তিন ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের রুটিন দেওয়া হয়েছে।আজ কোথায়-কখন লোডশেডিং হবে, তার তালিকাও দিয়ে দিয়েছে সংস্থা দুটি। এই প্রতিবেদনের সঙ্গে ডিপিডিসি ও ডেসকোর তালিকাভুক্ত এলাকার লোডশেডিংয়ের সময়সূচি যুক্ত আছে।
ডিপিডিসি লোডশেডিং শুরু করছে সকাল ১০টায়। তবে ডেসকো লোডশেডিং করছে দিন-রাতজুড়ে। শুরুতে এ দুই সংস্থা এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করত। ডিপিডিসির তরফে জানানো হয়েছে, লোড বরাদ্দ প্রাপ্তির ভিত্তিতে আরোপিত লোডশেডিং কম বা বেশি হতে পারে।
রাজধানীতে ডিপিডিসি ও ডেসকো—এ দুই বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা তালিকা দিয়েছে। ঢাকার বাইরেও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকা দিয়েছে। তবে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সেই তালিকা মেনে চলা হচ্ছে না বলে অনেক গ্রাহক জানিয়েছেন; বিশেষ করে ঢাকার বাইরে। সেখানে লোডশেডিং রাজধানীর তুলনায় অনেক বেশি।
বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় গত ১৮ জুলাই। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ১৯ জুলাই থেকে দেশজুড়ে লোডশেডিং শুরু হয়।শুরুতে বলা হয়েছিল, এ লোডশেডিং হতে পারে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত।
আর এখন থেকে সপ্তাহে এক দিন বন্ধ থাকবে পেট্রলপাম্প। খরচ সাশ্রয়ের জন্য ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন আপাতত স্থগিতের সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ওই দিন সকালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।