চলতি মাসের মধ্যেই হওয়ার কথা সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, আগস্টের মধ্যেই শেষ করতে হবে নির্বাচন প্রক্রিয়া।
কিন্তু আচমকা বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক ফিফা এবং এশিয়ার ফুটবলের নিয়ন্ত্রক এএফসি থেকে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতে পরিষ্কার বলা হয়েছে, ফিফা কিংবা এএফসি কোনভাবেই ভারতীয় ফুটবলে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মানবে না।
তেমন কিছু ঘটলে তাদের বড় রকমের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। তারপর তারা যে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন তা হলো, ফিফার দেয়া সময়সূচি মেনেই এআইএফএফের নির্বাচন করাতে হবে। তার আগে গঠনতন্ত্র তৈরি করতে হবে।সুপ্রিম কোর্ট তা অনুমোদন করবে। নির্বাচন কোন তারিখের মধ্যে করতে হবে, সেটাও তারা জানিয়ে দিয়েছেন।সম্প্রতি ফিফা-এএফসি কর্তারা দিল্লিতে ফেডারেশন কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
সেখানে ৭ অগস্টের মধ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ শেষ করে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সেরে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।তারপরেই আবার আদালত নতুন নির্বাচনের দিন ঘোষণা করায় বেজায় চটেছে ফিফা।তারা এর আগে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের জন্য পাকিস্তান ফুটবল সংস্থাকে নির্বাসন দিয়েছিল।
এবার ভারতের ক্ষেত্রে এমন কিছু ঘটতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।ফিফার নির্দেশনা ভাঙলে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ভারত থেকে সরে যেতে পারে, সাথে আসতে পারে নিষেধাজ্ঞার মতো শাস্তিও; এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ফিফা।ফিফা ও এএফসি সচিব যথাক্রমে ফাতমা সামোরা ও জন উইন্ডসর এই চিঠি দিয়েছেন ফেডারেশনের কার্যকরি সচিব সুনন্দ ধরকে।
তাঁরা উল্লেখ করেছেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, দুঃখজনকভাবে ফেডারেশনের নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতের আদালত রায় দিয়েছে। জানি না, আমরা নির্বাচনের দিন ঠিক করে দেওয়ার পরেও কী করে অন্য পক্ষ একইভাবে দিন ঘোষণা করছে, এই নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি।’