আমরা এখন ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছি।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায়, সাম্প্রতিক কালে ভ্রমণের জনপ্রিয়তা কোথায় পৌঁছে গেছে। দেশের পর্যটন–স্থানগুলোর তুলনায় বিদেশেই বেশি ঘুরতে দেখা যাচ্ছে মানুষকে।দীর্ঘ দুই বছর পর দূরদূরান্তের সীমানা পাড়ি দেওয়া সম্ভব হওয়ার ফলে অনেকেই এবারই প্রথম পা রেখেছেন বিদেশের মাটিতে।
ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করে যেখানে মানুষ ফোন কিংবা কম্পিউটারের স্ক্রিনেই সেরে ফেলছে অনেক কিছু, আগে যেখানে সম্পূর্ণভাবে এজেন্টের ওপর নির্ভরশীল ভ্রমণ–পরিকল্পনা করা হতো, সেই জায়গায় এখন যোগ হয়েছে নানা প্রযুক্তিগত সুবিধা। ই-পাসপোর্ট, অনলাইন বুকিং, ডিজিটাল লেনদেন ইত্যাদি ব্যবস্থা দিন দিন হয়ে উঠেছে আরও জনপ্রিয়। কমবেশি সবাই আজকাল প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শী হয়ে উঠছি।পুরো পথ ফ্লাইটে যেতে চাইলেও রয়েছে এখন প্রযুক্তির অন্যতম সমাধান তাই প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সম্পূর্ণ নিজের মতো ভ্রমণ–পরিকল্পনার জন্য রইল বিশেষ কিছু টিপস।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দেখলেই জানা যায়, সাম্প্রতিক কালে ভ্রমণের জনপ্রিয়তা কোথায় পৌঁছে গেছে।দেশীয় পর্যটন গুলোর তুলনায় বিদেশেই বেশি ঘুরতে যাচ্ছে মানুষ।দূরদূরান্তের সীমানা পাড়ি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে বলে বিদেশে ঘুরতে যাওয়াই হচ্ছে মানুষের প্রথম পছন্দ। বিদেশের গন্তব্যগুলোর মধ্যে বাংলাদেশিদের কাছে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় দেশগুলো হলো ভারত, থাইল্যান্ড, নেপাল, মালদ্বীপ ও তুরস্ক। সীমিত বাজেটের মধ্যে ঘুরতে চাইলে ভারত অথবা নেপালই বেশি জনপ্রিয়। কারণ, এই গন্তব্যগুলোতে চাইলে সড়কপথেই যাওয়া যায়।
আবার অনেকে সময় বাঁচানোর জন্য পুরোটা পথ সড়কে না গিয়ে অর্ধেক রাস্তা বিমানে পাড়ি দেন। পুরো পথ ফ্লাইটে যেতে চাইলেও এখন প্রযুক্তিই অন্যতম সমাধান।
মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, তুরস্ক—ইত্যাদি দেশ এখন একটু বেশি খরচের খাতায় চলে গেছে। এসব দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বিমান ছাড়া পথ নেই। বিশেষত দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ যাওয়ার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ট্যুরই একসঙ্গে নিতে হয়। কারণ, এই দেশটিতে একটি দ্বীপের মাঝেই ঘোরার যাবতীয় সরঞ্জাম থাকে। তবে চাইলে অল্প সময়ে একাধিক দ্বীপেও ভ্রমণ করতে পারবেন।
আবার তুরস্কের প্রতিটি কোণে লুকিয়ে আছে নানা রকম আশ্চর্য। কেবল ইস্তাম্বুল ঘুরে এলে দেশটির সৌন্দর্যের সিকিভাগও দেখা হবে না। পামুক্কালেতে যেমন আছে সাদা পাহাড়ের মাঝে স্বচ্ছ নীল পানির প্রাকৃতিকভাবে গরম জলাশয়, তেমনি রিসোর্টের শহর অ্যান্টালিয়াতে আছে ঐতিহাসিক স্থাপত্য এবং পুরোনো আমলের রোমান বন্দর।
বিদেশ ভ্রমণের বাজেটের সিংহভাগই চলে যায় ফ্লাইটের খরচে। হোটেল বুকিংয়ে খরচ অনেক বেশি না হলেও বেশ কিছু জটিলতা থেকে যায়। অনেক সময় দেখা যায়, অন্যান্য মাধ্যম থেকে হোটেল বুক করলে পছন্দমতো হোটেলরুম বাছাই করার স্বাধীনতা পাওয়া যায় না, অথবা গন্তব্যে পৌঁছে হতাশ হতে হয়। এসব দিক বিবেচনা করে সতর্কতার সঙ্গে হোটেল বাছাই করা দরকার। হোটেলের অবস্থান কোথায়, শহরের কেন্দ্র থেকে কত দূরে, সেখানে কী কী সুযোগ–সুবিধা আছে—ইত্যাদি অবশ্যই আগে থেকে জেনে নিতে হবে।
কিন্তু আগে থেকে যাচাই–বাছাই করে হোটেল বুক করতে প্রথমত দেখতে হয় বিদেশি ওয়েবসাইট, যেখানে শুধু বিদেশি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে লেনদেন করা সম্ভব। এসব বিবেচনায় সম্পূর্ণ নিজের পছন্দমতো হোটেল বুক করার স্বাধীনতা নিয়ে এসেছে গোযায়ান। তাদের প্ল্যাটফর্মে আছে দেশ–বিদেশের সব ধরনের হোটেলের খোঁজ। শুধু তা–ই নয়, বুকিং করে পেমেন্টের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন বাংলাদেশে প্রচলিত যেকোনো লেনদেনের মাধ্যম। এ ক্ষেত্রেও শূন্য শতাংশ ইএমআই অথবা ট্রাভেল লোন ব্যবহারের সুযোগ আছে।
নির্মল সমুদ্রসৈকতে আরাম করা কিংবা রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার—ইচ্ছা যা–ই থাকুক, ভ্রমণের সময় এখনই। দেরি না করে আপনার স্বপ্নের বিদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা করে ফেলুন।