ভোলায় বিক্ষোভ চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনায় দুজনের মৃত্যুকে বিএনপির লাশের রাজনীতির বলি আখ্যা দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।বুধবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বেতারের চট্টগ্রাম কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ভোলায় দলীয় কর্মী নিহতের ঘটনায় বিএনপি নেতাদের দায়ী করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতারা তাদের কর্মীদের সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ফলে কর্মীর মৃত্যুর দায় স্বীকার করে তাদের পদত্যাগ করা উচিৎ।তিনি বলেন, সেখানে পুলিশের ওপর গুলি করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যকে তাদের দলীয় কার্যালয়ে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়েছে। অর্থাৎ বর্তমান নেতৃত্ব তাদেরকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি লাশের রাজনীতি করে। আর তাদের লাশের রাজনীতি বলি হয়েছে ভোলার দুই কর্মী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সারা বাংলাদেশে এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে লাশ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাবে- মির্জা ফখরুল সাহেবের গত কয়েকদিনের উস্কানিমূলক বক্তব্যে এটিই প্রমাণিত হয়। তবে জনগণ তাদেরকে সেই সুযোগ দেবে না।’জিয়াউর রহমান লাশের ওপর ভর করেই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ক্রমাগতভাবে বহু সেনা সদস্যের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে দেশ পরিচালনা করেছে। ১৯টা ক্যু হয়েছে। শতশত নয়, কয়েক হাজার সেনা, বিমান ও নৌ-বাহিনীর অফিসার এবং জওয়ানকে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকেও হত্যা করেছে।’
ভোলার সংঘর্ষের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘ভোলায় বিএনপির সমাবেশ থেকে দোকানপাট ভাঙচুর, পুলিশের প্রতি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও গুলি ছোঁড়া হয়েছে। সেই গুলিতে পুলিশের একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়েছে।
তাদের যে দুজন কর্মী মৃত্যুবরণ করেছে, তার মধ্যে ৩১ জুলাই যিনি মৃত্যুবরণ করেছে- ডাক্তারের রিপোর্ট হচ্ছে তার মৃত্যু হেড ইনজুরিতে অর্থাৎ মাথায় ইট-পাটকেলের আঘাতেই হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। ইট-পাটকেল তো বিএনপিই ছুঁড়েছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর দায় বিএনপির।’
এর আগে বাংলাদেশ বেতারের সদ্যপ্রয়াত মহাপরিচালক আহম্মদ কামরুজ্জামানের স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মকবুল হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বেতারের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক খাদিজা বেগম।