খেলাফুটবল

৫৬ বছরের শূন্যতা ঘুচিয়ে ইউরোপ সেরা ইংল্যান্ড

১৯৬৬ সালের পর একের পর এক বছর পেরিয়েছে। টুর্নামেন্টের পর টুর্নামেন্ট গড়িয়েছে। কিন্তু ’৬৬’র ওই বিশ্বকাপ সাফল্যের পর আর কোনো বড় শিরোপা উৎসবের উপলক্ষ পায়নি ইংল্যান্ড। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা সে হতাশার বৃত্ত ভাঙল মেয়েদের হাত ধরে, ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের মধ্য দিয়ে।

ফুটবলের আঙিনায় নতুন যুগ শুরুর আশায় এখন বুধ বাঁধছে ইংলিশরাও।লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে রোববার অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে ইংলিশ মেয়েরা।এলা টুন স্বাগতিকদের এগিয়ে নেওয়ার পর লিনা মাগুল সমতা টেনে ম্যাচ নেন অতিরিক্ত সময়ে।

প্রতিযোগিতাটিতে এর আগে আটবার ফাইনালে উঠে প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন হওয়া জার্মানি ঘুরে দাঁড়িয়ে ‘নবম’ আশায় বুক বাঁধে।তবে এই ইংল্যান্ড দল হতাশা ঢাকতে ছিল মরিয়া। তারই ফসল ক্লোয়ি ম্যাগি কেলির ১১০তম মিনিটের ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোল। প্রতিযোগিতাটিতে তৃতীয়বার ফাইনালে উঠে শিরোপা হাসি হাসল দেশটির মেয়েরা। বলা বাহুল্য, নারী ফুটবলের ইতিহাসে এটাই তাদের প্রথম শিরোপা।

১৯৬৬ বিশ্বকাপে জিওফ হার্স্ট-ববি চার্লটনদের সেই সাফল্যের পর ইংল্যান্ডের পুরুষ কিংবা নারী দল রোববারের আগ পর্যন্ত আর কোনো মেজর শিরোপা জিততে পারেনি। গত বছর পুরুষ ইউরোর ফাইনালে এই ওয়েম্বলিতেই ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায় গ্যারেথ সাউথগেটের দল।মেয়েদের ইউরোপ সেরার এবারের আসরে শুরু থেকেই ফেভারিট ভাবা হচ্ছিল ইংল্যান্ডকে।

নামের প্রতি সুবিচার করে টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণভাবে নিজেদের মেলে ধরে সেমি-ফাইনালে শক্তিশালী সুইডেনকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে ওঠে তারা।রেকর্ড ৮৭ হাজার ১৯২ জন্য দর্শকের উপস্থিতিতে শুরু হওয়া ফাইনালে গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৫৬তম মিনিটে বদলি নামেন এলা টুন।

মাঠে নামার ছয় মিনিটের মাথায় দলকে কাঙ্ক্ষিত গোল এনে দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই ফরোয়ার্ড।৭৯তম মিনিটে পাল্টা-আক্রমণে গোল করে ইংলিশদের স্তব্ধ করে দেন মাগুল। সেটা যদিও কেবল তাদের উৎসবটাকে বিলম্বিতই করতে পারে।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের জমজমাট লড়াইয়ের ১১০তম মিনিটে অবশেষে ওই জয়সূচক গোল।কেবল সাফল্য খরার অবসান নয়, দেশটির ক্রীড়াঙ্গণে মেয়েদের বিজয় কেতনও উড়ল নতুন করে। এই ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনই ১৯২১ সালে প্রায় ৫০ বছরের জন্য মেয়েদের ফুটবল নিষিদ্ধ করেছিল!

Back to top button