শিশু প্রথেমেই শিক্ষা পায় পরিবার থেকে। তাকে যেভাবে গড়া হয় পরবর্তীতে তার মানসিক বিকাশও সেভাবে হয়। শিশুকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে বাবা-মায়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ছোটবেলা থেকে গড়ে তোলা কিছু কিছু অভ্যাস শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
শিশুর মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে কিছু বিষয় অনুসরণ করুন। যেমন-
উদাহরণ তৈরি করা: শিশুরিা সাধারণত বাবা-মাকে রোল মডেল ভাবে এবং তাদের ছোট ছোট অভ্যাস গ্রহণ করে। উদাহরণস্বরূপ, যদি বাবা-মায়েরা প্রতিদিন সকালে তাদের বিছানা তৈরি করে, শিশুরাও একই কাজ করবে। এরকম ইতিবাচক আচরণ শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। যেহেতু শিশুরা বাবা-মায়ের কাছ থেকেই শিক্ষা নেয় এজন্য আপনার অভ্যাস এবং আচরণে সচেতন হওয়ার চেষ্টা করুন।
প্রশংসা করুন : শিশু যদি নতুন কিছু করার চেষ্টা করে তাহলে তার প্রশংসা করুন। সফল না হলেও তাকে উৎসাহ দিন। এটি ভবিষ্যতে শিশুর নতুন কিছু করার ভয় কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। বাবা-মায়ের প্রশংসা শিশুর আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে তোলে এবং তাকে নতুন কাজ করতে আরও আগ্রহী হতে অনুপ্রাণিত করে। যে বাচ্চারা যথেষ্ট প্রশংসা পায় তারা দৃঢ় আত্মমর্যাদাসম্পন্ন আত্মবিশ্বাসী মানুষ হয়ে ওঠে। অন্যদিকে প্রশংসা এবং অনুপ্রেরণার অভাব শিশুদের মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
কখনই তুলনা করবেন না : প্রতিটি মানুষই অনন্য এবং প্রত্যেকেরই কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তাই কখনই শিশুকে ভাইবোন বা বন্ধুদের সাথে তুলনা করবেন না। যখন শিশুকে অন্যের সাথে তুলনা করা হয়, তখন তার আত্মসম্মান ক্ষুন্ন হয়। সময়ের সাথে সাথে তার মধ্যে হীনমন্যতাও বাড়ে।
ছোট ছোট দায়িত্ব দিন : শিশুকে ছোট ছোট কাজ দিন। যেমন- খেলার পরে তাদের খেলনা গোছানো, নিজের বিছানা তৈরি করা, নিজের হাতে খাওয়া, ধাঁধা মেলানো ইত্যাদি করতে বলুন। এরকম ছোট ছোট কাজ দিলে তারা দায়িত্বশীল হয়ে উঠবে এবং তাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে।
শিশুদের সিদ্ধান্ত নিতে দিন: আজকাল ৫ থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুরাও নিজের পছন্দের পোশাক পরতে চায়। কিন্তু বাবা-মায়ের তাদের কথায় মনোযোগ না দিয়ে নিজেদের পছন্দ তাদের চাপিয়ে দেন যা তাদের আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়। আপনি যদি সন্তানের কোন সিদ্ধান্তের সাথে একমত না হন, তাহলে নিজের পছন্দ চাপিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে তাকে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে দিন এবং পরে তাকে যুক্তি দিয়ে বোঝান।