সামরিক মহড়ার ঘোষণা চীনের!
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের প্রতিক্রিয়ায় সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন। এ জন্য যেসব স্থানকে বেছে নেয়া হয়েছে তা তাইওয়ানের চারদিক জুড়ে রয়েছে। এই মহড়ায় ভারি অস্ত্র ব্যবহার এবং গোলা ছোঁড়া হবে।
চীনের এমন আতঙ্ক সৃষ্টি করা আচরণের কঠিন নিন্দা জানিয়েছে তাইওয়ান। দেশটির সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ ধরণের মহড়া তাইওয়ানের সীমান্ত লঙ্ঘন করবে এবং ভূমি-পানি ও আকাশে তাইওয়ান বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
চীনের এমন আগ্রাসী আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সাই। তিনি বলেন, চীনের এই আচরণ অপ্রয়োজনীয়।চীনের মহড়ার স্থানগুলো রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত এই মহড়া চলবে। তবে এর আগেই তাইওয়ান ছাড়বেন পেলোসি। চীনের প্রকাশিত ম্যাপে দেখা গেছে তাইওয়ানের চারদিকেই চলবে মহড়া। বড় আকারের এই মহড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে পারে দ্বীপটি।
এর আগে পেলোসি মঙ্গলবার রাতে তাইপে পৌঁছানোর পরই তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ২১টি চীনা সামরিক বিমান প্রবেশ করে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ২১টি সামরিক বিমান তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলে প্রবেশ করেছিল।
চীনের সামরিক বাহিনীও জানিয়েছে, তারা ‘উচ্চ সতর্ক’ অবস্থানে আছে এবং পেলোসির তাইওয়ান সফরের প্রতিবাদে সামরিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যারা আগুন নিয়ে খেলবে, তাদের সেই আগুনে পুড়তে হবে।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, তাইওয়ানের স্বার্বভৌমত্ব বিনষ্ট হয় এমন যে কোনো আচরণ প্রতিহত করবে তাদের সেনাবাহিনী। বেইজিং জানিয়েছে, মহড়া চলাকালীন সেখানে কোনো বিদেশী জাহাজ কিংবা বিমান যেনো প্রবেশ না করে। অপরদিকে একে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলছে তাইওয়ান।
এই সামরিক মহড়া নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাপানও। দেশটির সরকারের এক মুখপাত্রের দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের মধ্যে সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন। সেখানে যেহেতু গোলা ছোড়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে, তাই তা নিয়ে চীনের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাপান।