আওয়ামী লীগএক্সক্লুসিভঢাকাবাংলাদেশবিএনপিরাজধানীরাজনীতি

হরতালের আগে রাস্তা দখল করতে হবেঃ মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

এই সরকারকে হটানোর এক দফা দাবি আদায়ের জন্য আগে রাজপথ দখল করে পরে হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।সমাবেশে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা হরতাল ও অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি দাবি করলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হরতালের আগে রাস্তা দখল করতে হবে। দখলকারী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জনগণের সরকার গঠন করতে হবে।’ 

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক এবং দক্ষিণ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন। 

সমাবেশে বর্তমান সরকারের হাতে হারিকেন দেওয়ার সময় এসে গেছে বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্যালেস্টাইনে যেমন মায়ের বুক খালি হলে মা বুক চাপড়ান, গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের চিত্র এমন। আমি যখন আবদুর রহিমের নিথর দেহ দেখলাম, তখন তার মা বুক চাপড়াচ্ছেন। প্যালেস্টাইনের মায়েরাও এমন করেন।’ দলীয় নেতা-কর্মীদের গর্জে ওঠার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবাইকে গর্জে উঠতে হবে, রাজপথ দখলে নিতে হবে। এই সরকারকে আর সময় দেওয়া যাবে না।’ 

ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি যৌথভাবে এই সমাবেশের আয়োজন করে। আগামী পরশুদিন থেকে বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বলে জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

চলতি বছর এই সরকারের শেষ বছর বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, ‘রহিম হত্যার মধ্য দিয়ে এই সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। আপনারা অনেকেই বলেন হরতাল-অবরোধ দেয় না কেন। হরতাল-অবরোধ দেব, এমনকি এই সরকারের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার মতো মেগা প্রকল্পে মেগা ঋণ নিয়ে বড় দুর্নীতি করছে সরকার। আজকে যে পরিমাণ ডলার লাগে, আগামী দুই বছর পর এর তিন গুণ ডলার লাগবে। এভাবে নতুন প্রজন্মের বড় ক্ষতি করেছে সরকার। আজকে বাংলাদেশের অর্থনীতি শ্রীলঙ্কার চেয়েও খারাপ অবস্থায় চলে গেছে।’ 

Back to top button