চীনের তরফে দেওয়া বারবারের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে তাইওয়ানে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি তাইপে বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। একই সময়ে তাইওয়ান উপত্যকা ও পূর্ব উপকূলের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে চীন।তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রকাশের জন্য তিনি ঝুঁকি নিয়ে এই সফরে গিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন।
প্রথমবারের মতো তাইপে পৌঁছেন পেলোসি। এ নিয়ে ২৫ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের কোনো স্পিকার দেশটি সফরে গেলেন। এমন এক সময়ে তিনি এই সফরে গেলেন, যখন যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে সম্পর্ক নিম্নতর অবস্থানে। এ ছাড়া বাইডেন প্রশাসন থেকে তাইওয়ানে পেলোসির সফরের বিষয়ে সতর্ক করেছিল। তাইওয়ানের একজন কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, মঙ্গলবার পুরো রাতই তিনি তাইপে থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বিবেচনা করা বেইজিং এই সফরের ‘মারাত্মক পরিণতির’ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র উসকানিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে, যা তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে উত্তেজনা বাড়াতে পারে। তাদের অবশ্যই এর সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে।
চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই দায় বহন করবে এবং মূল্য দিতে হবে’।চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে ব্রিটিশ মিডিয়া বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ান উপত্যকা পার করা শুরু করেছে। এই বিমানগুলো এসইউ-৩৫ বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে কয়েক দিন ধরেই তীব্র উত্তেজনা চলছে। এশিয়া সফরের আগ দিয়ে রোববার পেলোসির অফিস জানিয়েছিল যে তার সফরের মধ্যে থাকছে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। এতে তাইওয়ানের কথা উল্লেখ ছিল না।তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।চীন মনে করে তাইওয়ান তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের এক চীন নীতির ব্যাপারে কোনো ধরনের ছাড় দিতে রাজি নয় চীন।
এদিকে তাইওয়ানে পৌঁছেই টুইট বার্তা দিয়েছেন মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তিনি বলেন, এই সফরের মধ্য দিয়ে তার প্রতিনিধি দল তাইওয়ানের গতিশীল গণতন্ত্রের প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের অবিচল প্রতিশ্রুতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।টুইট বার্তায় পেলোসি আরও লেখেন, ‘তাইওয়ানের ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষের সঙ্গে আমেরিকার সংহতি আজ আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ’ এবং তার সফর ‘কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী নীতির বিরোধিতা করে না’।