অপরাধঢাকাবাংলাদেশসাভার

কথিত স্ত্রীর হাতে খুন রিকশাচালক যুবক

সাভারের আশুলিয়ায় বটি দিয়ে জবাই করে আলী নুর বিশ্বাস (২৭) নামে যুবককে হত্যা করেছেন এক নারী। ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকলেও ফোন করে নিজেই নিহতের পরিবারকে খবর দেন তিনি। পরে নিহতের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।আজ সোমবার বিকালে আশুলিয়ার জিরাব বাসস্ট্যান্ডের নিকট দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে র‍্যাব, পিবিআই এর একাধিক দল।

গতকাল রবিবার বিকেলে নিহতের বোন জামাই জাকির হোসেনের মোবাইলে আলী নুরের মোবাইল নম্বার থেকে কল দিয়ে কথা বলেন এক নারী। জাকির হোসেন বলেন, আমাকে ওই নারী বলে- আলী নুরকে এক রুমে তালা দিয়ে রাখছি। আপনারা এসে ওকে নিয়ে যান।

পরে বাসার ঠিকানা দেয় ওই মহিলা। আমি আজ সকালে এসেছি। এসে ওই নম্বরে কল দিয়েছি তখন আমাকে গালি দিয়ে ফোন কেটে দেয় সে। পরে আমি এলাকাবাসীর সহায়তায় বাড়ি খুঁজে বের করি। এসে দেখি আমার শ্যালকের মৃতদেহ।পলাতক নারীর এখনো কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহত যুবক মাগুরা জেলা শ্রীপুর থানা হোগলডাঙ্গা গ্রামের বাহাদুর বিশ্বাসের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওই বাসায় ভাড়া উঠেন আলী নূর এবং ওই নারী।

নিহতের বোন জামাই আরো বলেন, গত কোরবানির ঈদের ছুটিতে ১৪ জুলাই রাতে গ্রামের এক মেয়ের সাথে আলী নুরের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। ওই স্ত্রীকে বাড়িতে রেখেই বিয়ের ৩ দিন পর ঢাকায় ফিরে আসে আলী নূর। বিয়ের আগে আলী নূরকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তার কোনো পছন্দের মেয়ে আছে কিনা। আলী নুরের সম্মতিতেই তার বিয়ে হয়।

আশুলিয়া থানা পুলিশের এসআই ইউনূস আলী বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই ঘর থেকে একটি রক্তমাখা বটি দা জব্দ করা হয়েছে। মরদেহ দুই থেকে তিন দিনের আগে হবে। প্রাথমিকভাবে ধারনা তাকে বটি দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে ওই কথিত স্ত্রী।এ ঘটনায় নিহতের পরবিার বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বাড়িওয়ালা দেলোয়ার হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ঘর ভাড়া নিছে তারা স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে। এখনো তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা কোনো তথ্য নেওয়া হয়নি। শুক্রবার তারা ঘর ধোয়া মোছা করেছে। শনিবার দিন আলী নূরকে আমি রিকশা চালাতে দেখেছি। আজকে যখন তার বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজতে এসেছে তখন আমি এ ঘটনা জানতে পারি।

Back to top button