অপরাধবাংলাদেশরাজশাহীশিক্ষাঙ্গন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী গ্রেপ্তার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মোছা. রিক্তা আক্তার নামের এক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে রিক্তার বাবা লিয়াকত জোয়ারদার বাদী হয়ে করা হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে মতিহার থানার পুলিশ।নিহত রিক্তা আক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার জোতপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গছে, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের ধরমপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে স্বামী ও তার বন্ধুরা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক তারেক নুর, আইন বিভাগের সভাপতিসহ রিক্তার ১৫-১৬ জন সহপাঠী হাসপাতালে উপস্থিত হন। পরবর্তী কর্তব্য চিকিৎসক রাবির ছাত্র উপদেষ্টাকে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই ছাত্রী মারা যান। পরে মতিহার থানার ওসি রিক্তার স্বামীসহ এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যান।

এ ঘটনায় তার স্বামী আব্দুল্লাহ ইসতিয়াককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইসতিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের এক‌ই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামে। তারা দুজন এক‌ই ভাড়া বাসায় থাকতেন। পরবর্তীতে বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে রিক্তার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন  বলেন, ‘মেয়েটার আত্মহত্যার বিষয়টি আমাদের কাছে রহস্যজনক। তাই রহস্য উদঘাটনের জন্য ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছি। মরদেহ তার বাবার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। রিক্তার বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন। ‘

ওসি আরো বলেন, ‘এজাহারে রিক্তার বাবা তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করেছেন। এই এজাহারপ্রাপ্তির পর ৩০২ ধারায় আমরা একটি হত্যা মামলা রুজু করেছি। রিক্তার বাবা জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ড তার স্বামী সংঘটিত করেছে। তাই তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ‘ তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেতে এখনো সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। 

Back to top button