ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা ও চাচা মারধরের শিকার হয়েছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা ওই রাতেই ৮ জনের নামে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগীর বাবা জানান, ‘মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাব্বি, সাঈদ ও জীবন নামের কয়জন বখাটে আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে খারাপ প্রস্তাব দেয়। এ ঘটনার আমি প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে মারধর করে তারা্ বিষয়টি মাদ্রাসার সুপারকে জানালে তিনি মীমাংসা করার পরামর্শ দেন। কিন্ত বিকেলে আমার ভাই মাঠে কাজ করতে গেলে তাকেও রড দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়। সে এখন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।’
স্থানীয়রা জানায়, কয়েকদিন আগে ষাটবাড়িয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে একই মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্র রাব্বি, সাঈদ ও জীবন। তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় তারা ওই ছাত্রীর শরীরে একটি বোতলে মুত্র ভরে নিক্ষেপ করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে বখাটেরা ওই ছাত্রীর বাবাকে মারধর করে। একই দিন সন্ধ্যায় তারা গ্রামের মাঠ থেকে চাচা আফজাল হোসেনকেও রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়। সে এখন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে ষাটবাড়িয়া আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ইমরানুর রহমান জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঘটনাটি ঘটেছে। মাদ্রাসার বাইরের ঘটনা হওয়ায় তিনি মীমাংসা করার পরামর্শ দিয়েছেন।কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, এ ব্যাপারে গতকাল সোমবার রাতে থানায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।