মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ৩ জনের নামে আজ সোমবার মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা।স্কুলছাত্রীর বাবার অভিযোগ সূত্র জানা যায়, কালুখান্দী গ্রামের ইমারত মোল্যার ছেলে ইট ভাটা মালিক গোলাম রব্বানী (৪২) দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েকে উত্যক্ত ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এমনকি বিয়ের প্রস্তাবও দেয়।
স্কুলছাত্রীর বাবার অভিযোগে বলা হয়, বাড়ির কাছের ওই ইট ভাটা থেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে স্কুলছাত্রীকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পর আজ সোমবার সকালে মহম্মদপুর থানায় স্কুলছাত্রীর বাবা মামলা দাখিল করতে যান। কিন্তু থানায় মামলা রুজু করতে তালবাহানা করায় স্কুলছাত্রীর বাবা আজ দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ বলেন, ‘মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক প্রণয় কুমার দাশ অভিযোগ আমলে নিয়ে এটিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য মহম্মদপুর থানাকে আদেশ দিয়েছেন। ’
বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার পর স্কুলছাত্রীর পরিবার এটি প্রত্যাখ্যান করায় রব্বানী তাকে জোর করে তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়। রবিবার দিবাগত রাতে গোলাম রব্বানী, কালু কান্দি গ্রামের আমজাদ মোল্যার ছেলে আছাদ (৩৫), বাকি মোল্যার ছেলে আলমগীরের (২৭) সহযোগিতায় অস্ত্রের মুখে তার মেয়েকে স্থানীয় একটি ইট ভাটায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তারা ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
থানায় মামলা না নেওয়ার ব্যাপারে মহম্মদপুর থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের কোনো অভিযোগ থানায় দিতে এসে কারও ফিরে যাওয়ার কথা আমার জানা নেই। বিজ্ঞ আদালতে এ ধরনের কোনো অভিযোগ দায়ের হয়ে থাকলে আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেব। ’