রাজশাহী মহানগরীতে নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে ফাঁসিয়ে অপহরণ, প্রাণনাশের হুমকি ও চাঁদা আদায়কারী প্রতারক চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া টাকা, চাকু ও ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- কিছু দিন আগে ইকবাল (ছদ্মনাম) নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে অহনা নামের একটি মেয়ের ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে মোবাইলে ও মেসেঞ্জারে তাদের কথা হতো। কিছু দিন পর হাসপাতাল বন্ধ গেট এলাকায় অহনার সঙ্গে ইকবালের দেখা হয়। সেখানে অহনার বান্ধবী মায়ার সঙ্গেও তার পরিচয় হয়।
আটক আসামিরা হলেন- সিহাবুল ইসলাম শিলু (২১) ও তার স্ত্রী আসমা আফিয়া ওরফে অহনা ওরফে অধরা (২১), স্বাধীন (২১), সাগর আলী (২২), মেহেদী হাসান মিম (২১) এবং প্রিয়া আক্তার মায়া ওরফে টুসু (১৯)।আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. রফিকুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২০ জুলাই অহনা তার বান্ধবী মায়ার মোবাইলফোন থেকে ইকবালকে চন্দ্রিমা থানার শিরোইল কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দেখার করার জন্য আসতে বলেন। ইকবাল বিশ্বাস পরে রাত সাড়ে ৯টায় শিরোইল কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আসেন। সেখানে অহনা ও তার বান্ধবী মায়ার সঙ্গে দেখা হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় অন্য আসামিরা হাতে লোহার রড, জিআই পাইপ, চাকু ইত্যাদি নিয়ে ইকবালকে ঘিরে ফেলে এবং জোরপূর্বক স্কুলের মাঠে নিয়ে যায়।
সেখানে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারে এবং চাকুর ভয় দেখিয়ে তার পকেটে থাকা নগদ ৩৭ হাজার টাকা, একটি মোবাইলফোন কেড়ে নেয়। তার নগ্ন ছবি উঠিয়ে মানসম্মানহানীর ভয় দেখিয়ে বিকাশ, রকেট ও নগদের পিন নম্বর নিয়ে নেয়। এছাড়াও মুক্তিপণ বাবদ আরও ৫ লাখ টাকার জন্য পরিবারের লোককে বলার জন্য চাপ দেয়।
এরপর তার এক বন্ধুর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে নেয়। আসামিরা নিজেরাই সেই টাকা উঠিয়ে নেয়। এ ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে ইকবাল ডিবি পুলিশকে অভিযোগ দেয়। এর সূত্র ধরে প্রথমে তাদের শনাক্ত করা হয়।
পরে তাদের আটক করা হয়।মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।