রাজধানীতে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে খুনাখুনির খেলায় মেতে উঠছে উঠতী বয়সী তরুণরা। কে বড়, কে ছোট এই তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে প্রায় ঘটছে খুনাখুনির ঘটনা। এমনকি বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বিভিন্ন নামে গ্রুপ খুলে প্রভাব বিস্তার করছে কিশোর-তরুণরা।
আর এসবই চলছে ওইসব এলাকার রাজনৈতিক বড় ভাইদের ছত্রছায়ায়। যার পরিণতিতে প্রাণ হারাতে হচ্ছে ছোটদের। গত বছরে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে প্রায় ১০ জন কিশোরকে প্রাণ হারাতে হয়েছে।
শনিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর–১০ নম্বরের ওয়াসা রোডে ছুরিকাঘাতে রাশেদ হোসেন (২০) নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাশেদ হোসেন এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টা করছিলেন। পরিবারের সঙ্গে মিরপুরের ওয়াসা রোড এলাকায় থাকতেন তিনি।তাৎক্ষণিকভাবে আটককৃতদের নাম জানাতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছে, জুনিয়র–সিনিয়র দ্বন্দ্বে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাঁদের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে রাশেদকে ছুরিকাঘাত করে একদল দুর্বৃত্ত। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রাশেদকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।