Bangla News

ঠাকুরগাঁওয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় এক মাদ্রাসাছাত্রী উদ্ধার

ঠাকুরগাঁওয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় মাহফুজা খাতুন (১৪) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহরের টাঙ্গন নদীর পার থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।মাহফুজা খাতুন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের ক্বারী মোস্তফা কামালের মেয়ে। সে ঠাকুরগাঁও শহরের হঠাৎপাড়া এলাকার খাতুনে জান্নাত কামরুন্নেছা কওমি মহিলা মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করে।

খাতুনে জান্নাত কামরুন্নেছা কওমি মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম হযরত আলী বলেন, ‘অন্যান্য দিনেরে মতো গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে ছাত্রীরা ঘুমিয়ে পড়ে। পরে ফজরের সময় মাদ্রাসাছাত্রী মাহফুজা খাতুনকে কক্ষে দেখতে না পেয়ে তার সহপাঠী ও শিক্ষকরা খোঁজাখুজি করতে থাকেন। বিষয়টি তার পরিবারকেও জানানো হয়। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মাদ্রাসার পাশে টাঙ্গন নদীর পার থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় মাহফুজা খাতুনকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ।’

স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গন নদীর ব্লকে সাদা প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে কিছু এটা নড়তে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর তারা বস্তাটি খুলে তাতে এক কিশোরিকে হাত-পা বাধা অবস্থায় দেখতে পান। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। স্থানীয় লোকজন নিশ্চিত করে ওই কিশোরি মাদ্রাসা ছাত্রী মাহফুজা খাতুন। পরে প্লাস্টিকের বস্তা থেকে মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, মাদ্রাসায় ভর্তির আগে মাহফুজা খাতুনের সঙ্গে এক ছেলের বিয়ে হয়েছিল। পরে আবার তাদের মধ্যে বিচ্ছেদও ঘটে। মেয়েটির জবানবন্দি অনুযায়ী, তার সাবেক স্বামী কয়েকজন লোক নিয়ে এসে কৌশলে রাত ৩টার দিকে মাদ্রাসা থেকে মাহফুজাকে বের করে টাঙ্গন নদীর পারে নিয়ে যায়।

পরে নির্যাতন করে তাকে বস্তাবন্দি অবস্থায় টাঙ্গন নদীতে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যান।’ ওসি আরও বলেন, ‘ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। আমরা গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি তদন্ত করছি। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

Back to top button