কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্রের একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্রের একটি আবাসিক হোটেল থেকে সাদিকা ইসলাম ওরফে রিচি (১৮) নামের এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কুয়াকাটা পর্যটন পুলিশের সহায়তায় হোটেলের দরজা ভেঙে লাশটি উদ্ধার করে মহিপুর থানা–পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সাদিকা ইসলামের বাড়ি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায়। হোটেলের রেকর্ড বইয়ে তাঁর স্বামীর নাম লেখা ছিল রায়হান ইসলাম। তবে রায়হান ইসলাম আজ বিকেল থেকেই হোটেলের বাইরে ছিলেন।এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার মো. আবুল খায়েরের বক্তব্য জানতে তাঁর মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ধরেননি।
মহিপুর থানা–পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল রোববার বিকেলে সাদিকা ইসলামসহ চারজনের একটি দল কুয়াকাটায় বেড়াতে আসে। সন্ধ্যায় তাঁরা কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্রের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হোটেল রোজ গার্ডেনের দুটি রুম ভাড়া নেন। দলটির সবাই আজ কুয়াকাটার বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেড়িয়েছেন।
এরপর সন্ধ্যায় হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা সেখানে যান। এ সময় হোটেলটির যে কক্ষে ওই তরুণী অবস্থান করছিলেন, সেটির দরজার সামনে গিয়ে তাঁকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ পাননি পুলিশ সদস্যরা। একপর্যায়ে তাঁরা ওই কক্ষের দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে থাকা ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করেন।
কুয়াকাটা পর্যটন পুলিশের পরিদর্শক মো. হাসনাইন পারভেজ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় ওই তরুণী যে কক্ষে ছিলেন, সেটির দরজা ভেতর থেকে আটকানো ছিল। হোটেলটিতে অবস্থান করা ওই তরুণীর অপর সঙ্গীরা আমাদের জানান, তাঁরা তিনজন বিকেল থেকে হোটেলের বাইরে ছিলেন।
সন্ধ্যায় হোটেলে ফিরে তাঁরা দেখেন, ওই তরুণীর কক্ষটির দরজা ভেতর থেকে আটকানো। এ সময় তাঁরা বারবার ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ পাননি। এরপর তাঁরা হোটেল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ গিয়ে কক্ষটির দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে ওই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করে।’হাসনাইন পারভেজ আরও বলেন, ময়নাতদন্ত করতে লাশটি মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ বিষয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।