দেশের চলমান বিদ্যুতের লোডশেডিং আগামী সেপ্টেম্বরের আগে কাটবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরের দিকে বেশ কয়েকটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আসবে, তখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, ‘জাপানের আয় আমাদের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। সেখানেও লোডশেডিং হচ্ছে, তাদেরকে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে, বিদ্যুৎ জ্বালানি সাশ্রয়ের ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। ব্রিটেনে, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত দেশগুলোতেও লোডশেডিং হচ্ছে।’
আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। এর আগে বিদ্যুতের কোম্পানিরগুলোর সঙ্গে তার এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তারপরই এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিলেও অনেক উন্নতি হয়েছে। যদি দাম না বাড়ত, অস্থিরতা তৈরি না হতো, তাহলে এমন পরিস্থিতি হতো না।’প্রধানমন্ত্রী জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সবসময় দামের ব্যাপারে সহনশীল।তিনি বলেন, জালানি এবং বিদ্যুৎ খাতে যে ঘাটতি, কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটি বলা যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী যেমনটা বলেছেন, সেটির একটু গভীরে গিয়েছি। কীভাবে আমরা সাশ্রয়ী হব সেটি নিয়ে ভাবছি।’
আজকের সভা প্রসঙ্গে তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের বিষয়ে কীভাবে আগে জানানো যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করেছি। আগেই যদি লোডশেডিংয়ের ব্যাপারে জানাতে পারি, তাহলে গ্রাহকরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারবে। সেটি জেলা লেভেলের কর্মকর্তারা জানাবেন।
তবে তাৎক্ষণিক সেটা জানানো কঠিন। সে জন্য আমাদের বিপিডিসি একটা অ্যাপ তৈরি করেছে, সেখানে ঢুকলে জানা যাবে কোন এলাকায় কখন, কবে লোডশেডিং হবে। সেটি সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই জানানো হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। যার যার ঘরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহার কমাব। এসি ২৫ ডিগ্রির নিচে রাখা যাবে না, আলোকসজ্জা হবে না, বিয়েসহ নানা অনুষ্ঠান যেগুলো রাতে হয়, সেগুলো সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে শেষ করতে হবে।পরিস্থিতিটি একটি যুদ্ধের মতো। সবাই মিলে যদি চেষ্টা করি তাহলে পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারব।’