ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ এড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন এক অজ্ঞাত ব্যক্তি। সবার অগোচরে সেখানেই রাত পার করেছেন তিনি। পরদিন তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে আসেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। সঙ্গে আরও আসেন কলকাতা পুলিশের আরও কয়েক জন কর্মকর্তা। তারা এসেই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেন। বোমা শনাক্তকারী দল ও কুকুর এনেও নিরাপত্তার বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের আর কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরা লাগানোর প্রয়োজন রয়েছে তাও খতিয়ে দেখে পুলিশ।
গত শনিবার দিবাগত মধ্যরাতের ঘটনা এটি। জানা গেছে সেদিন রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতার দক্ষিণ কলকাতার হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়ির চত্বরে ঢুকে পড়েন এক অজ্ঞাত ব্যক্তি। তারপর সারারাত আত্মগোপন করে থাকেন তিনি। রোববার ভোরের আলো ফুটতেই ওই ব্যক্তিকে দেখতে পান মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীরা।এরপর তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ খবর পাঠায় লালবাজারে।
মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ঢোকার সময় বাঁ দিকে তাঁর ভাইয়ের একটি বাড়ি আছে। সেই বাড়িতে অবশ্য ভাই থাকেন না। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে ওই ভবনের ওপর দিয়ে ওই ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়েছিলেন। এরপর ভেতরে ঢুকে সারারাত ওই স্থানেই আত্মগোপন করে ছিলেন। কিন্তু সারারাত ধরে ওই ব্যক্তি ওখানে কী করেছে সে ব্যাপারে এখনও কিছু বলেনি পুলিশ।
ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, এ ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা নিজেও ক্ষুব্ধ হয়েছেন।কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) মুরলী ধর শর্মা সাংবাদিকদের গত রোববার বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আমাদেরও লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা আরও জোরদার করা।
এই ঘটনার পর রাজ্যজুড়ে প্রশ্ন উঠেছে কীভাবে একজন মানুষ রাতের বেলা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে পড়তে পারেন? কারণ মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন নিরাপত্তার চাদরে সবসময় ঢাকা থাকে। এ নিয়ে পুলিশের তদন্ত চলছে।