Bangla News

গভীর রাতে চালককে হত্যা করে ভাড়ার মোটরসাইকেল ও মোবাইল ছিনতাই

গভীর রাতে ঢাকার গাবতলীতে যাওয়ার কথা বলে মিরপুরের কালশী থেকে দেড় শ টাকা ভাড়ায় মোটরসাইকেলে উঠেছিলেন তিনি। বেশ খানিকটা পথ গিয়ে চালককে মোটরসাইকেল থামাতে বলেন। চালক মোটরসাইকেল থামালে ব্যাগে থাকা ছুরি বের করে তাঁর গলায় চালিয়ে দেন। মোটরসাইকেলসহ চালক রাস্তায় পড়ে যান। পরে মোটরসাইকেল ও চালকের মুঠোফোন নিয়ে বিরুলিয়া সেতু দিয়ে সাভারের দিকে এগোতে থাকেন তিনি।

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ ইসলাম জানান, বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ৯৯৯ থেকে একটি ফোন আসে। বলা হয়, পল্লবীর সুলতান মোল্লা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়–সংলগ্ন আবদুল লতিফ মিয়ার বাড়ির সামনে একটি মৃতদেহ পড়ে আছে।

এই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে থানার একটি টহল দল তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে গলাকাটা অবস্থায় একজনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় পাশে থাকা হেলমেট দেখে পুলিশের সন্দেহ হয় যে লাশটি কোনো মোটরসাইকেলচালকের।

তখন রাত আড়াইটা। সাভারের বিরুলিয়া পুলিশ ক্যাম্পে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা একটি মোটরসাইকেলকে থামার সংকেত দেন। কিন্তু মোটরসাইকেল চালক না থেমে উল্টো ঘুরে পালানোর চেষ্টা করেন। ধাওয়া করে তাঁকে আটক করা হয়।

তাঁর পোশাক ও মোটরসাইকেলে রক্তের দাগ দেখা যায়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধরা পড়ে যান কাওছার আহম্মেদ নামের এই খুনি।গতকাল বুধবার রাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজধানীর পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহত মোটরসাইকেলচালক রাজুর বাবা মোস্তাফিজুর জলিল মফিজ।

ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে বেতার বার্তার মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী সব থানায় ঘটনাটি জানিয়ে দেওয়া হয়। এ সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে রাত আড়াইটার দিকে বিরুলিয়া পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা কাওছারকে আটক করে পল্লবী থানায় জানান।

Back to top button