পদ্মা সেতুতে দাঁড়ানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। গুরুত্বের সঙ্গে এই খবর দেশের সব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সেতু কর্তৃপক্ষ এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে রবিবার দেখা গেল সেই নির্দেশনাকে তোয়াক্কা করছেন না অনেকেই।
সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে কেউ ছবি তুলছেন, কেউ টিকটক করছেন। কেউ কেউ প্রস্রাব করা শুরু করে দিয়েছেন। এসব কর্মকাণ্ডে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।নেটিজেনরা ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করছেন। পাশপাশি প্রসাব করা যুবকদের পরিচয় খুঁজছেন। ইতিমধ্যে সেতুর নাট খোলা যুবককে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
সেতুর ওপর প্রসাব করার ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ইমরান বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো পার্কে আপনি যেতে পারবেন না। এই অসভ্য লোকদের মুতের গন্ধে। রেলের বগিতে মুতের গন্ধ, সি বিচ—নদীর পাড়, রাস্তাঘাট, ফুলের বাগান; সবখানে মুতের গন্ধ। ‘ তিনি বলেন, ‘এয়ারপোর্ট-সচিবালয়-বিশ্ববিদ্যালয়, শপিং মল সবখানে, সবখানে মুতের গন্ধ। অনেকের খারাপ লাগতে পারে কথাগুলো, কিন্তু এটাই সত্য। ‘
অসভ্যতার বিরুদ্ধে এখনই সোচ্চার হওয়ার দাবি জানিয়েছেন ইমরান এইচ সরকার। তিনি বলেন, ‘এ দেশের কিছু অসভ্য পুরুষ লোকের যেখানে-সেখানে মুততে বসাটাই একটা পুরুষতান্ত্রিক হ্যাডম। এরা আজ পদ্মা সেতুতে মুততে বসেছে, দুই দিন পর মেট্রো রেল চালু হলে সেটাও মূত্রখানা বানাবে। এই অসভ্যতার বিরুদ্ধে এখনই সোচ্চার হওয়া সময়ের দাবি। তা না হলে এদের মুতের গন্ধে কেউ ঘর থেকেই বের হতে পারবেন না ভবিষ্যতে। ‘
পদ্মা সেতুতে মানুষের হাঁটাচলার বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে সেতু বিভাগ। সেতুতে মানুষের না নামার বিষয়টি নিশ্চিত করতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে অনুরোধ জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। রবিবার পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলামের সই করা চিঠি সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং সাপোর্ট অ্যান্ড সেফটি টিমকে (ইএসএসটি) পাঠানো হয়েছে।