মাঙ্কিপক্স অন্তঃসত্ত্বা, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়া ব্যক্তি ও শিশুসহ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বুধবার জেনেভায় এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস এ আশঙ্কার কথা জানান। খবর রয়টার্সের।
রয়টার্স জানিয়েছে, আফ্রিকায় একটি স্থানীয় রোগের আখ্যা পেয়েছে মাঙ্কিপক্স। কিন্তু এবার মহাদেশটির বাইরের অন্তত ৫০টি দেশে ছড়িয়েছে সংক্রামক রোগটি। মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে উল্লেখ করে নমুনা পরীক্ষা ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ডব্লিউএইচও প্রধান গেব্রিয়াসুস বলেন, দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। আমার শঙ্কা, ভাইরাসটি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলছে। এখন এটি ঝুঁকিপূর্ণদের মধ্যে সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে।ডব্লিউএইচও ব্রিটেনের দুটি সংক্রমণসহ আক্রান্ত শিশু, স্পেন ও ফ্রান্সের ফলোআপ প্রতিবেদনের ওপর তদন্ত করে দেখেছে। তবে দুই শিশুর রোগ মারাত্মক রূপ নেয়নি।
করোনাভাইরাসের মতো এতটা দ্রুত ছড়ায় না মাঙ্কিপক্স। কিন্তু রোগটি এখন মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ায় ‘বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করা হবে কিনা; সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মে মাসে প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত তিন হাজার ৪০০ মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের। ইউরোপে আক্রান্তদের অধিকাংশই একই লিঙ্গের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপনকারী পুরুষ।যেসব দেশে রোগটির সচরাচর প্রকোপ আছে, চলতি বছরে সেসব দেশে দেড় হাজার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬৬ রোগী।