ঈদের হাটের অপেক্ষায় ফরিদপুরে সবচেয়ে বড় গরু “সম্রাট”
ঈদুল আজহা যত ঘনিয়ে আসছে, ততই ফরিদপুরের খামারিরা তাদের মোটা তাজাকরা গরুগুলো ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নিয়ে বিক্রি করার প্রস্তুতি দিচ্ছেন। ফরিদপুরে ‘সম্রাট’ নামে ৩৮ মন ওজনের একটি গরু পালন করেছেন সদর উপজেলার বিল মাহমুদপুর গ্রামের খামারি রফিকুল ইসলাম সবুজ।
তার ফার্মে ছোট বড় মিলিয়ে অনেক গরু থাকলেও সম্রাটই এখন পর্যন্ত তার ফার্মের সবচেয়ে বড় গরু।কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পেলে পদ্মা সেতু দিয়ে ‘সম্রাট’কে ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করবেন বলে জানান এই খামারি। কালো রংয়ের হওয়ায় গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
গরুটি বাজারে উঠানোর আগেই যেন বাড়ি থেকে বিক্রি করতে পারেন সেই প্রত্যাশা করছেন খামারি। তবে ন্যায্য মূল্য না পেলে পদ্মা সেতু দিয়ে গরুটিকে ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করবেন বলে জানান রফিকুল ইসলাম সবুজ।
এ ব্যাপারে জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল্লাহ মো. আহসান জানান, খুব যত্ন করে গরুটি লালন পালন করেছেন খামারি। পুরো দেশীয় পদ্ধতিতে জমির কাঁচা ঘাস খাইয়ে গরুটিকে বড় করে তোলা হয়েছে। এটিই আমাদের এলাকার বড়চেয়ে বড় গরু।
রফিকুল ইসলাম সবুজ জানান, ছোটবেলা থেকেই প্রাকৃতিক খাবারের পাশপাশি দেশীয় দানাদার খাবার খাইয়ে গরুটিকে সন্তানের মতো যত্নে মোটাতাজা করে বড় করেছেন। বৃহৎ আঁকারের গরুটি দেখতে প্রতিদিন উৎসুক মানুষ ভিড় করছেন তার বাড়িতে। কোনো শিল্প উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ীর কাছে কাঙ্খিত মূল্য পেলে গরুটি বিক্রি করবেন তিনি।
এটি ব্রাহমা জাতের ষাঁড় জানিয়ে রফিকুল ইসলাম সবুজ বলেন, গরুটিকে কাঁচা ঘাসের পাশপাশি, খৈল, ভূষি, আপেল, কলা খাইয়ে বড় করেছেন। আকারে বড় ও আচরণে খানদানি হওয়ায় গরুটির নাম রেখেছেন ‘সম্রাট’।
তিনি আরও বলেন, এটা আমার ঘরের খামারের গরু। খাবারেও সাধারণ সবকিছু ছিল। খুব সাধারণভাবেই তাকে লালন পালন করা হয়েছে। এটি দেখতে অনেক বড় এবং সুন্দরও সম্রাটের মতোই। কালো রংয়ের জন্য বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। ক্রেতা পেলে কিছু কম মূল্যে হলেও তার শখের প্রিয় গরুটি তুলে দেবেন তার হাতে।
জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, ‘‘গরুটির কথা শুনেই এটিকে দেখতে এসেছি। এখানে এসে গরুটিকে দেখে বুঝতে পারলাম, ফরিদপুর জেলায় এত বড় গরু দেখিনি। কালো রংয়ের ‘সম্রাট’ গরুটির বাজার মূল্য ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত গরুটির নির্ধারিত কোনো দাম ওঠেনি।’’ফরিদপুরে ১০ হাজার খামারি ৫৩ হাজার ৮শ গরু লালন পালন করেছে, যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করতে পারবেন বলেও জানান জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।