সারা দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়ায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। দোকান, শপিং মল, বাজার, ক্রেতা-বিক্রেতা, হোটেল-রেস্টুরেন্টে সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক না পরলে আইনানুগ শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খানের সইয়ে মোট ছয়টি নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে সর্বপ্রকার গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানাতে হবে। সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস নীতি’ প্রয়োগ করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আজ মঙ্গলবার এ–সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি হয়েছে। নির্দেশনাটি সব সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজি) কাছেও এটি পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশে করোনায় আক্রান্তের হার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। জনগণের মধ্যে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে যথেষ্ট শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ মহলে আলোচনা হচ্ছে। কোভিড–১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি ১৪ জুন অনুষ্ঠিত সভায় করোনা প্রতিরোধে সবাইকে মাস্ক পরার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছে। কারিগরি কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।
স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ও মাস্ক পরিধানের বিষয়ে সব মসজিদে জুমার নামাজে খুতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন।জানতে চাইলে আজ রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব খোরশেদ আলম খান বলেন, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনা দেওয়ার মানে হলো দোকান, শপিং মল, বাজার, ক্রেতা-বিক্রেতা, হোটেল-রেস্টুরেন্টে সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে। এ জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সরকারি দপ্তরেও মাস্ক পরতে হবে। এ নির্দেশনা প্রাথমিক পদক্ষেপ বলে জানান তিনি।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। জনসমাগম যথাসম্ভব বর্জন করতে হবে।নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ধর্মীয় প্রার্থনার স্থান মসজিদ, মন্দির, গির্জায় মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। জ্বর, সর্দি–কাশি বা কোভিড–১৯–এর উপসর্গ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে।