গোলমরিচকে বলা হয় মশলার রাজা। কারণ এটির মত গুনাগুণ নাকি আর কোনও মশলায় এত নেই। এটি হল গাছের ফল। এটি মূলত দক্ষিণ ভারতের মূল মশলা।গোলমরিচ মশলা ও ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। গোলমরিচ হল সব থেকে উপকারী মশলা। এটি ডায়রিয়া, হার্টের অসুখ থেকে শুরু করে দাঁতের অসুখ অ্যানিমিয়া এমনকি সর্দি কাশিতেও বেশ কাজ দেয়।
দেখতে ছোট হলেও গোলমরিচের তেজ অনেক। রান্নার স্বাদ বাড়ায় এই মসলা। এটি সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগ সারাতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। রয়েছে সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ও ক্যালসিয়ামের মতো খনিজও।
⦁ গোলমরিচে পিপারিন নামের একটি উপাদান আছে। এটি ক্যানসারের অন্যতম ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গোলমরিচে থাকা ভিটামিন শরীরের ফ্রি র্যাডিকেলস দূর করে দেয়।
⦁ এটি পেট ফাঁপা ও ক্ষুধামান্দ্য দূর করে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও কমায়।
⦁ এই মসলায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এটি রক্তপ্রবাহ বাড়ায়। অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
⦁ আবহাওয়া বদলের সময় অনেকের ঠান্ডা, সর্দি-কাশির সমস্যা হয়। গোলমরিচ খেলে এসব সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
⦁ গোলমরিচ হজমে সাহায্য করে। এতে আছে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড। হজম যদি সঠিকভাবে হয়, তাহলে ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে মুক্তি মেলে।
⦁ গোলমরিচ চর্বি সেল ভেঙে ওজন কমায়। ক্যালরি কমাতে ভূমিকা রাখে। রোজ গোলমরিচ খেলে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়।
⦁ আবহাওয়া বদলের সময় অনেকের ঠান্ডা, সর্দি-কাশির সমস্যা হয়। গোলমরিচ খেলে এসব সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
⦁ গোলমরিচ শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। এটি ব্যথা কমায়। দাঁত ভালো রাখতেও এই মসলার জুড়ি নেই।
⦁ মুখের স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে তেজি মসলা গোলমরিচ।
⦁ উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে এটি। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীর কর্মক্ষম রাখে এই মসলা।
কীভাবে খাবেন
⦁ গোলমরিচ রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন।
⦁ চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
⦁ গরম পানি ফোটানোর সময় গোলমরিচ ছেড়ে দিন। এরপর গ্রিন টি কিংবা টি-ব্যাগ দিয়ে দিন। স্বাদ অনুযায়ী লাল চিনি দিয়ে পান করুন।
⦁ এক গ্লাস গরম পানিতে আধা চা-চামচ মধু ও আধা চা-চামচ গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করতে পারেন।