পদ্মা সেতু দেখতে এসে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ভোলার ছাত্রলীগের নেতার লাশ উদ্ধার
পদ্মা সেতু দেখতে এসে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ভোলার চরফ্যাশনের ছাত্রলীগের নেতা আফসার তামিমের (২৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে পদ্মা নদীর জাজিরার ছিডারচর বাটকুল এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। গত শনিবার বিকেলে পদ্মা নদী পার হওয়ার সময় ট্রলার ডুবে নিখোঁজ হন তিনি। আফসার তামিম চরফ্যাশন সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
দুই দিন ধরে তাঁর খোঁজে নদীর বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করেছেন স্বজন ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সোমবার দুপুরে জাজিরার ছিডারচর বাটকুল এলাকার পদ্মা নদীতে এক ব্যক্তির লাশ ভেসে ওঠার তথ্য পায় পুলিশ। ওই তরুণের স্বজনেরা খবর পেয়ে বিকেলে সেখানে ছুটে যান। লাশ দেখে তাঁরা সেটি আল আফসার তামিমের বলে শনাক্ত করেন। পরে নৌ পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সন্ধ্যায় জাজিরা থানায় নিয়ে আসে।
জাজিরা থানার পুলিশ ও মৃত আফসার তামিমের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধন দেখতে ও আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিতে শিবচরের কাঁঠালবাড়িতে আসেন তিনি। এলাকার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও স্বজনদের সঙ্গে তিনি লঞ্চে করে এসেছিলেন। জনসভা শেষে তাঁরা কয়েকজন ঢাকায় যাচ্ছিলেন। ট্রলারে করে পদ্মা নদী পার হওয়ার সময় মাওয়ার কাছে ঢেউ ও স্রোতে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় কয়েকজনকে উদ্ধার করা গেলেও, আফসার নিখোঁজ হন।
আফসার তামিমের ফুফাতো ভাই মো. ইউনুছ মুঠোফোনে বলেন, ‘আমরা লঞ্চে করে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিলাম। অনুষ্ঠান শেষে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বাংলাবাজার থেকে মাওয়ায় রওনা হয়েছিলাম। মাওয়াঘাটের কাছাকাছি পৌঁছালে ট্রলারটি ডুবে যায়।
আমরা কয়েকজন উঠতে পারলেও, আফসার তামিম নদীতে তলিয়ে যায়। এভাবে ভাইকে পদ্মা নদীতে হারিয়ে ফেলব, ভাবতে পারিনি।’জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ট্রলারডুবিতে নিহত তরুণের লাশ তাঁর স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে।
জাজিরার মঙ্গল মাঝিরঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক শহীদুল ইসলাম বলেন, যে তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তিনি ভোলার একটি কলেজের ছাত্রলীগের নেতা। পদ্মা সেতু দেখতে এসেছিলেন। শনিবার ঢাকায় ফেরার সময় ট্রলারে পদ্মা নদী পাড়ি দিতে গিয়ে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ হন।