প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী কার্যক্রম শেষ করার পরই উচ্ছ্বাসিত মানুষ পদ্মা সেতুতে উঠে যান। সেতুতে উৎসুক জনতা উঠছেন—এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে নাওডোবা টোল প্লাজার সামনে হাজারও মানুষ ভিড় করেন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল, সন্ধ্যা ও রাত পর্যন্ত মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
বেলা একটার দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে পদ্মা সেতুতে ওঠেন শরীয়তপুরের তরুণ হেমন্ত দাস। তিনি হেঁটে সেতুর তিন কিলোমিটার অংশ পর্যন্ত চলে আসেন। পুলিশের বাধায় আবার মাওয়া প্রান্তে ফিরে যান। জাজিরা প্রান্ত থেকে সেতুতে ওঠার জন্য স্পিডবোটে নদী পার হয়ে বিকেলে নাওডোবা আসেন হেমন্ত দাস।
হেমন্ত দাস চেষ্টা করেন সেতুতে ওঠার। কিন্তু এ প্রান্তে পুলিশের বাধায় আর সেতুতে উঠতে পারেননি।উৎসুক মানুষের ভিড়ের কারণে টোল প্লাজার সামনে থেকে সংযোগ সড়ক পর্যন্ত অন্তত এক কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে বেগ পেতে হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় নাওডোবায় টোল প্লাজার সামনে গিয়ে দেখা যায়, জমাদ্দার মোড় থেকে টোল প্লাজা পর্যন্ত সংযোগ সড়কে মানুষের ঢল নেমেছে। সড়কের পাশে অনেকে অস্থায়ী দোকান বসিয়েছেন। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত যানবাহন সংযোগ সড়ক দিয়ে ফিরে যাচ্ছে।
আবার সেতু দেখতে আসা অনেকে গাড়ি ও মোটরসাইকেল নিয়ে সড়কে এসেছেন। রাত আটটা পর্যন্ত এ সড়কে যানজট ছিল।পদ্মা দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরই মানুষ ভিড় করেন টোল প্লাজার সামনে।
উৎসুক লোকজনকে সরিয়ে নিতে পুলিশকে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে।শরীয়তপুরের হেমন্ত দাস বলেন, ‘স্বপ্নের সেতু চালু হয়েছে। হেঁটে সেতু পার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা থেকে মাওয়ায় আসি। সেতুতে উঠতে পারলেও পুরো সেতুতে হাঁটা হয়নি। তাই আবার জাজিরা প্রান্ত থেকে সেতুতে ওঠার চেষ্টা করেছি।’
ফরিদপুরের ভাঙা থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পদ্মা সেতু দেখতে এসেছিলেন মিলন সরকার। সন্ধ্যায় ফিরে যাওয়ার সময় সংযোগ সড়কে যানজটে আটকা পড়েন। মিলন সরকার বলেন, সন্ধ্যার দিকেও হাজার হাজার মানুষের ভিড় ছিল পদ্মা সেতুর প্রান্তে। মানুষজন গাড়ি ও মোটরসাইকেল নিয়ে এলোমেলো চলাচল করেছেন। ফলে যানজট সৃষ্টি হয়।