আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর বাংলাদেশের ইতিহাসের দীর্ঘতম পদ্মা সেতুর উদ্বোধন
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা, তারপরই মাহেন্দ্রক্ষণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসের দীর্ঘতম পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের পরের দিন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে সেতু। প্রবহমান পদ্মার বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা বাঙালির অহংকার পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ছুটে চলবে যানবাহন।
শুক্রবার (২৪ জুন) দুপুরে মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় জনসভাস্থল পরিদর্শন শেষে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করতে সবধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জনসভাস্থল শেষে সবাই নিরাপদে বাড়ি যেতে পারে সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। এখানে এসএসএফ, ডিজিএফআই, এনএসআই, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌপুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে র্যাবসহ সাড়ে পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্য। এজন্য সাজানো হয়েছে ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা বলয়।শনিবার (২৫ জুন) সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু উদ্বোধনী নামফলক উন্মোচনের পর টোলপ্লাজার সামনে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর সেতু পেরিয়ে জাজিরা প্রান্তে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। জাজিরা প্রান্তে নামফলক উন্মোচনের পর বিকেলে জনসভায় বক্তব্য দিবেন প্রধানমন্ত্রী। এরই মধ্যে মাওয়া ও জাজিরায় জোরদার করা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়। পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি কাজ করছে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
হাইওয়ে পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, নৌ পুলিশ সবাই একযোগে মোতায়েন রয়েছে। বিভিন্ন পেট্রোলিং ছাড়াও আকাশপথে থাকবে র্যাবের হেলিকপ্টারের নজরদারি।
র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন পদ্মা সেতু এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে জনসভাস্থলসহ পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। আকাশে হেলিকপ্টার, সেতুর দুই প্রান্তে স্পেশাল কমান্ডো টিমসহ উদ্বোধনস্থল এবং আশপাশের এলাকাজুড়ে থাকবে র্যাবের কড়া পাহারা।
পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া ১ এবং সার্ভিস এরিয়া ২-এ র্যাবের পোশাকধারী সদস্যদের পাশাপাশি র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। সমাবেশস্থল, টোল প্লাজা, ফলক উন্মোচন স্থানসহ আশপাশে র্যাবের টহল তৎপরতা রয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য র্যাবের কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। স্ট্রাইকিং ফোর্স, মোটরসাইকেল পেট্রোল, বোট পেট্রোল, অবজারভেশন ফোর্স থাকবে সার্বক্ষণিক। সেতুর দুই প্রান্তসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট থাকছে।