পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে আর মাত্র তিন দিন বাকি। শেষ হবে অপেক্ষার পালা। উদ্বোধন উপলক্ষে পদ্মার পাড়ে যে মূল অনুষ্ঠান হবে, এর সর্বশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা।গতকাল সোমবার সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেনের সভাপতিত্বে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে গঠিত ১৮টি কমিটির প্রস্তুতির পর্যালোচনা সভা হয়েছে।
সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, কূটনৈতিকদের মধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান এবং বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টসহ অনেককে আমন্ত্রণ জানানো হবে। বিষয়টি দেখভাল করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিদেশিদের জন্য ৭৫টির মতো কার্ড বরাদ্দ করার পরিকল্পনা রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর আমন্ত্রণপত্র তাদের দলীয় কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আমন্ত্রণপত্র বিতরণে নিয়োজিত কমিটি জানিয়েছে ইতিমধ্যে ২ হাজারের বেশি আমন্ত্রণপত্র বিতরণ করা হয়েছে। পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে সুধীসমাবেশ এবং ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিক, বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও বিদেশি কূটনীতিকেরা থাকবেন।
শিবচরের জনসভায় ১০ লাখ লোকের জমায়েত করার পরিকল্পনা নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বরিশাল, বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল, বাগেরহাট থেকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে আসতে প্রস্তুতি সভা করছে।
দলটির নেতারা ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ থেকেও লোকসমাগম ঘটাতে চান। তবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন ঢাকা-মাওয়া রুটে বাসসহ অন্যান্য যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আছে সরকারে। ওই দিন সেতু দিয়ে সাধারণ যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না।
উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়া প্রান্তে সকাল ১০টায় সুধীসমাবেশে অংশ নেবেন। এরপর তিনি টোল দেবেন এবং সেতুর ফলক উন্মোচন করবেন। পরে তিনি গাড়িতে সেতু পাড়ি দিয়ে জাজিরা প্রান্তে পুনরায় ফলক উন্মোচন করবেন। এরপর বিকেলে তিনি মাদারীপুরের শিবচরে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।
সমাবেশে লোকসমাগম ঘটানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, মাওয়া প্রান্তের এপারের নেতা-কর্মীদের ভোরেই নদী পাড়ি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য লঞ্চ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।