Bangla News

জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদুল হত্যার নেপথ্যে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী কয়েকজনের নাম এসেছে

ঢাকার মতিঝিল আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলামকে (টিপু) গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন আরও কয়েকজনের নাম–পরিচয় পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওমান থেকে দেশে আনা সুমন শিকদার ওরফে মুসা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এসব তথ্য দিয়েছেন।

মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সুমন শিকদারকে গ্রেপ্তারের আগে অনেক বিষয় অস্পষ্ট ছিল। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ ও গ্রেপ্তার অন্যান্য আসামিকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে সেসব বিষয় পরিষ্কার হওয়া গেছে। ডিবি সূত্র বলছে, সুমন শিকদারের দেওয়া তথ্যে অস্ত্র ও গুলি সরবরাহে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সব আসামিকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদুল হত্যার নেপথ্যে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী কয়েকজনের নাম এসেছে।

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মতিঝিল এলাকার স্কুলের ভর্তি–বাণিজ্য, সরকারি অফিসের দরপত্র (টেন্ডার) নিয়ন্ত্রণ ও রাজনৈতিক আধিপত্য নিয়েই জাহিদুলকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের তালিকাভুক্ত কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী ছাড়াও প্রভাবশালী কিছু রাজনৈতিক নেতা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।

সুমন শিকদারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাহিদুল হত্যায় অস্ত্র সরবরাহে জড়িত সন্দেহে ইশতিয়াক আহম্মেদ জিতু ও গুলি সরবরাহে জড়িত সন্দেহে মতিঝিল ১০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুর রহমান ও পল্টনের সন্দেহভাজন অস্ত্র ব্যবসায়ী ইমরান আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুমন শিকদার গত শুক্রবার থেকে দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ড রয়েছেন।

গত ২৪ মার্চ রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি গুলিতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম নিহত হন। সে সময় ঘটনাস্থলে রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন ওরফে প্রীতিও (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। হত্যাকাণ্ডের পর দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সুমন শিকদারকে ৯ জুন ওমান থেকে ফিরিয়ে আনে পুলিশ।

Back to top button