একসঙ্গে বসে মদ পান করছিলেন স্বামী-স্ত্রী। একপর্যায়ে স্ত্রীকে খাবার পরিবেশন করতে বলেন স্বামী। স্ত্রী তা দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে খুন করে বসেন স্বামী। তবে মদ্যপ স্বামী বুঝতে পারেননি স্ত্রী নিহত হয়েছেন। ওই লাশের সঙ্গেই রাতে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি।
পরদিন সকালে বুঝতে পারেন স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। এরপর ওই ব্যক্তি ৪০ হাজার ২৮০ রুপি নিয়ে পালিয়ে যান। ভারতের রাজধানী দিল্লিতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। খবর বার্তা সংস্থা পিটিআই’র।গতকাল শনিবার পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম বিনোদ কুমার দুবে (৪৭)। তিনি দক্ষিণ দিল্লির সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশের (দক্ষিণ) অতিরিক্ত উপকমিশনার পবন কুমার বলেন, দুবের কাছ থেকে ৪৩ হাজার ২৮০ রুপি, ২টি মদের বোতল এবং রক্তের দাগযুক্ত বালিশ উদ্ধার করা হয়েছে।পুলিশকে দুবে বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ও তাঁর স্ত্রী সোনালি একসঙ্গে মদ পান করেন। এরপর স্ত্রীকে খাবার দিতে বলেন দুবে।
তবে সোনালি খাবার দিতে রাজি হননি। এতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে দুবেকে চড় মারেন সোনালি। এতে রেগে গিয়ে তাঁকে খুন করেন দুবে। অর্থ নিয়ে দিল্লি থেকে পালাতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে তার আগেই গ্রেপ্তার হন।পুলিশ আরও বলেছে, দুবে ও সোনালি ২০০৮ সালে বিয়ে করেন।
পুলিশের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেন, গত শুক্রবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে জরুরি নম্বরে তাঁদের কাছে একটি ফোন আসে। অভিযোগ করা হয়, স্ত্রী সোনালির (৩৯) সঙ্গে ঝগড়ার সময় দুবে তাঁকে পিটিয়েছেন। পরে তাঁকে বালিশ চাপা দেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ফোন দেওয়া ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছ থেকেও দুবে সম্পর্কে জেনে নেয় পুলিশ। এরপর তাঁর অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।