তবে কি শ্রীলঙ্কার পথেই হাটছে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ পাকিস্তান! দিন যত যাচ্ছে, বিদেশি ঋণে জর্জরিত দেশটির অর্থনীতি তত বেহাল হচ্ছে। রিজার্ভ ফাঁকা হতে হতে একেবারে শেষের পথে রয়েছে। সব মিলিয়ে দু’মাসও চলার উপায় নেই এই রিজার্ভ দিয়ে।
ফলে আমদানিতে লাগাম টানতে হচ্ছে ইসলামাবাদকে। এখন নতুন করে অর্থনীতি বাঁচাতে জনগণের ঘারে বোঝা তুলে দিচ্ছে পাক সরকার। এবার এক লাফে পেট্রোলের দাম বাড়লো ২৪ রুপি! আর ডিজেলের দাম বেড়েছে ৫৯ রুপি। সে হিসেবে বর্তমানে পাকিস্তানের লিটার পিছু পেট্রল এবং ডিজেলের দাম গিয়ে ঠেকেছে যথাক্রমে ২৩৪ এবং ২৬৩ রুপিতে। এ খবর দিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলনে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল অভিযোগ করেন, ইমরানের সরকারের নীতির কারণে পাকিস্তানের আজকের এই বেহাল দশা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভর্তুকি দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে পেট্রলের দাম কমিয়েছিলেন।
বর্তমান সরকারকে সেই সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হচ্ছে। মন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইলের মতে, পাকিস্তান প্রতি লিটারে পেট্রলে ২৪.০৩ টাকা, ডিজেলে ৫৯.১৬ টাকা, কেরোসিন তেলে ৩৯.৪৯ টাকা এবং লাইট ডিজেল তেলে ৩৯.১৬ টাকা ক্ষতি বহন করছে। মে মাসে জ্বালানি তেল বিক্রির থেকে যে ক্ষতি হয়েছে, তার পরিমাণ ১২০ বিলিয়ন রুপি ছাড়িয়েছে।
খবরে জানানো হয়েছে, শুধু পেট্রল বা ডিজেলই নয়, পাকিস্তানে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কেরোসিনের দামও। পাকিস্তানে বর্তমানে প্রতি লিটার কেরোসিন বিক্রি হচ্ছে ২১২ রুপি করে। এমন অবস্থায় পাকিস্তানের বর্তমান সরকার দূষছে সাবেক ইমরান খানের সরকারকে।সেই সরকারের নীতির কারণেই আজ পাকিস্তানের এই দশা।