শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের একটি ভোটকেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণার পর দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের ছোড়া শটগানের গুলিতে মা-মেয়েসহ তিনজন আহত হয়েছেন।আজ বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রহিম উদ্দিন মালাই মৃধাকান্দি একতা যুব সংঘ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, শিশু, তাঁর মায়ের পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লেগেছে। জাজিরাতে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শেখ দেলোয়ার হেসেন বলেন, ‘সব প্রার্থীর ফলাফল ঘোষণা করে আমরা কাগজপত্র বুঝিয়ে দিচ্ছিলাম। এমন সময় পরাজিত প্রার্থী মতিউর রহমানের সমর্থকেরা হামলা করেন। হামলায় আমাদের কয়েকজন কর্মকর্তারাও আহত হয়েছেন। আমাদের কিছু মালামাল খোয়া গেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট র্যাব নিয়ে আমাদের উদ্ধার করেছেন।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রহিম উদ্দিন মালাই মৃধাকান্দি একতা যুব সংঘ কেন্দ্রে বিজয়ী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও পরাজিত প্রার্থী মতিউর রহমান সিকদারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১২টি গুলি ছোড়ে। এতে ইমরান হোসেন, রুবিনা আক্তার ও তাঁর তিন বছরের মেয়ে লামিছা গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ থামাতে ও নির্বাচনের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের নিরাপদ রাখতে পুলিশ ১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। তাতে তিনজন আহত হওয়ার কথা শুনেছেন। তাঁদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেল বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরে পরাজিত প্রার্থীর লোকজন কেন্দ্রে হামলা করেছেন। কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন। পুলিশের গুলিতে শিশুসহ তিন ব্যক্তি আহত হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক। আমরা তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছি। ওই ঘটনায় মামলা করা হবে।’