অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন বলিউড মেগাস্টার সালমান খান। আজ শুক্রবার ফিল্মফেয়ারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের পাঠানো এক বন্দুকধারী সালমানকে হত্যা করতে চেয়েছিল। ভারতের জনপ্রিয় পাঞ্জাবি গায়ক ও কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য পান পুলিশ কর্মকর্তারা।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গ্যাংস্টার লরেন্স এবং তার লোকেরা সালমানের যাতায়াতের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য রাখতো। তারা দেখতে পেয়েছিল, সালমান সকালে সাইকেল চালানোর সময় নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে রাখেন না। সে সময় তিনি একাই থাকেন। ঠিক ওই সময় তাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিল তারা।
পুলিশ জানায়, সিধু হত্যার তদন্ত করতে গিয়ে বেশ কিছু অজানা তথ্য পাওয়া যায়। তখনই জানা যায়, সালমানকে হত্যার জন্য গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে একজন বন্দুকধারী নিয়োগ দেয় লরেন্স। হকি স্টিক রাখার কেসে একটি কম বোরের আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হয় তাকে।
ঘটনাক্রমে যেদিন সালমানকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হবে, একজন পুলিশ কর্মকর্তা তার সঙ্গে ছিলেন। বিষয়টি বন্দুকধারী ও তার সঙ্গীদের উদ্বিগ্ন করেছিল। তারা সিদ্ধান্ত নেন পরবর্তীতে পরিকল্পনাটি সম্পাদন করার। তবে শেষ মুহূর্তে ওই বন্দুকধারী পিছিয়ে যান। ভেস্তে যায় ষড়যন্ত্র।
এর কিছুদিন আগে প্রাতঃভ্রমণের সময় হুমকি চিঠি পান সালমানের বাবা সেলিম খান। সেখানে সালমান ও তার পরিবারের উদ্দেশে লেখা হয়- ‘সিধুর মতো অবস্থা হবে’। এ ঘটনায় বান্দ্রা থানায় খান পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে মুম্বাই পুলিশ। বাড়ানো হয় সালমানের নিরাপত্তা।
জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তিহার জেলে বন্দি থাকা লরেন্সকেও। যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।জনপ্রিয় পাঞ্জাবি গায়ক ও কংগ্রেস নেতা সিধুকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল লরেন্সের দল। ময়নাতদন্তের পর সিধুর দেহে ৩০টির বেশি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।