কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশন দপ্তরের কাছে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণের ঘটনায় পুলিশের এক সদস্যসহ দুজন নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন দপ্তরের ৫০ মিটার দূরে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর গোটা পার্ক সার্কাস এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গুলিবর্ষণের সময় মানুষ এদিক-ওদিক ছুটতে থাকে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এক সশস্ত্র কনস্টেবল হঠাৎ করে তাঁর এসএলআর থেকে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করেন। এই গুলিবর্ষণের সময় ওই রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন এক নারী। পুলিশ কনস্টেবলের এলোপাতাড়ি গুলির সময় তাঁর শরীরে গুলি লাগলে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। মোটরবাইকচালকও আহত হন।
গুলিতে নিহত নারীর নাম রিমা সিং। তাঁর বাড়ি হাওড়ার দাসনগরে। তিনি অ্যাপের মাধ্যমে ‘র্যাপিডো’ মোটরসাইকেল বুক করে আসছিলেন।ওই নারী রাস্তায় লুটিয়ে পড়ার পর গুলিবর্ষণ করা পুলিশ কনস্টেবল চোডুপা লেপচা নিজের হাতে থাকা এসএলআর দিয়ে গলায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন প্রকাশ্য রাস্তায়।
নিহত লেপচা বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের পুলিশ আউটপোস্টে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। ছুটি কাটিয়ে আজই তিনি কাজে যোগ দেন। কিন্তু বেলা দুইটার দিকে হঠাৎ তাঁর এসএলআর দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ৫ মিনিটের মধ্যে তিনি ১০ থেকে ১৫টি গুলি ছোড়েন। বছরখানেক আগে লেপচা কলকাতা পুলিশে চাকরি পেয়েছিলেন।লেপচার সহকর্মীরা পুলিশকে বলেছেন, লেপচা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, আজ জুম্মার নমাজ ছিল। এলাকায় কেউ ছিল না। নইলে অনেকে জখম বা মারা যেতে পারত। অ্যাডিশনাল পুলিশ কমিশনার জানান, মৃত চোডুপা লেপচা ফিফট ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল।এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছেন তিনি।এটা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। একজন মহিলার অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর।এছাড়া আরও দুজন আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা হচ্ছে। তবে তাঁদের অবস্থা অনেকটা ভাল। ওই কনস্টেবল অবসাদে ভুগছিলেন বলে মনে করছেন তিনি।